হিরো আলমকে মারধর, জামিন মেলেনি ম্যাক্স অভির

আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে মারধরের মামলায় তার স্ত্রীর প্রেমিক ম্যাক্স অভির জামিন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার (১২ অক্টোবর) ঢাকার এডিশনাল চিফ মেট্রেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এই আদেশ দেন।
এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) জাকির হোসেন। তিনি বলেন, আজ আদালতে ম্যাক্স অভি জামিন আবেদন করলে বিচারক সে আবেদন নাকচ করে দেন। এর আগে গত ৮ অক্টোবর ম্যাক্স অভিকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন আদালত। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট মো. জুয়েল রানা জামিন নাকচ করে দেন।
এদিকে, বাদী পক্ষের আইনজীবী শান্তা সাকসিনা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আজ আসামির পক্ষে খোরশেদ মিয়া আলম জামিনের শুনানি করেন। অপরদিকে বাদী পক্ষে জামিন নাকচের তীব্র বিরোধীতা করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক আসামি ম্যাক্স অভির জামিন নাকচ করে দেন। ফলে আসামিকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।
হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় গত ৬ অক্টোবর রাজধানীর বাড্ডা থানায় মামলা করা হয়। মামলায় এজাহারের চার নম্বর আসামি ম্যাক্স অভি ওরফে কামরুল ইসলাম রিয়াজকে হাতিরঝিল থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। সেও হিরো আলমের মতো কনটেন্ট ক্রিয়েটর।
এ বিষয়ে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম গণমাধ্যমে বলেন, ‘মিথিলা ও তার স্বামী আমাকে মারতে চায়। আবার ম্যাক্স অভিও আমাকে মারতে চায়। আমাকে মেরে ফেলতে পারলে সে রিয়া মনিকে বিয়ে করতে পারবে। এ রকম ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায়ও আছে। তাই তাদের সবার নামে মামলা করেছি। পুলিশকে আরও তথ্য দেব, যেগুলো আমার কাছে আছে।’
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গত ৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর আফতাবনগরের এম ব্লকে একদল দুর্বৃত্ত হিরো আলমকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ফেলে রেখে যায়। পুলিশ সূত্র জানায়, মোটরসাইকেলে কয়েকজন এসে আলমকে এলোপাথাড়ি পেটায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছিল, অভিযোগ পেলে তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
হিরো আলম অভিযোগে বলেন, এক ও চার নম্বর বিবাদীর নির্দেশে চার নম্বর বিবাদীসহ অজ্ঞাতনামা ছয়জন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে আমার সামনে এসে পথরোধ করে। তারা আমাকে জোরপূর্বক পাশের কাশবনে নিয়ে যায় এবং চার নম্বর বিবাদী হত্যার উদ্দেশে লাঠি দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে। অজ্ঞাতনামা একজনের হাতে থাকা লোহার ধারাল স্কেল দিয়ে আঘাত করলে আঘাতটি আমার ডান হাতের কনুইতে লাগে। পরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হই। বিবাদীরা আমার সারা শরীরে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুসি, লাথি ও চড়-থাপ্পড় মেরে জখম করে। আমার সঙ্গে থাকা অনর ব্র্যান্ডের একটি মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলে। আমি চিৎকার করলে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে ওই স্থান থেকে চলে যায়।
এর আগে গত জুন মাসে হাতিরঝিলের একটি বাসায় রিয়া মনি ও ম্যাক্স অভি অবস্থান করছিলেন। ঘটনা জানার পর এলকাবাসীকে নিয়ে হিরো আলম সেখানে হাজির হন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ম্যাক্স অভি তাকে পিটুনি দেয় বলে দাবি করেন আলম। এ ঘটনায় ২১ জুন হিরো আলম বাদী হয়ে হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করলে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়।