ভোটের মাধ্যমে জাতীয় সরকার গঠনের আহ্বান ভিপি নূরের

গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর বলেছেন, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক হামলার মাধ্যমে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা হয়েছিল, তবে সব রাজনৈতিক দল একসঙ্গে প্রতিবাদ করায় সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার ওপর হামলাটি ছিল একটি টেস্ট কেস—যার মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক ঐক্য পরীক্ষা করা হয়েছিল।’ এ সময় ভোটের মাধ্যমে জাতীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে পটুয়াখালী শহরের চৌরাস্তায় ফুড গার্ডেন রেস্তোরাঁর সামনে আয়োজিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুরুল হক নূর এসব কথা বলেন।
হামলার ঘটনায় সেনাবাহিনীর দুই-একজন কর্মকর্তা জড়িত থাকলেও পুরো বাহিনীকে দায়ী করা যায় না বলে মন্তব্য করেন নূর। তিনি উল্লেখ করেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্যোগে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনে সেনা ও সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা রয়েছেন এবং তিনি এই তদন্তের ফলাফল দ্রুত প্রকাশের দাবি জানান।
নূর আরও বলেন, যারা এক-এগারোর সময় তারেক রহমানকে টার্গেট করেছিল, তারাই এখন রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে। রাজনৈতিক ইতিহাসে গুম, খুন ও লুটপাটের দায়ে সেনাবাহিনীর ২৩ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
আগামী দিনের রাজনীতি প্রসঙ্গে নূর বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে রাজনৈতিক ঐক্য ও আমলাতান্ত্রিক মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন। রাজনৈতিক সমঝোতার ভিত্তিতে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে, যেখানে সব দলের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে নূর বলেন, ‘বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি—সব দলই বলছে এটি আমাদের সরকার। তবে কিছু উপদেষ্টার পক্ষপাতমূলক কর্মকাণ্ড সরকারের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, শ্রীলঙ্কার মতো গণভবন দখল হবে—সেটি হয়েছে। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়ার মুক্তি এসেছে। সময় প্রমাণ করেছে, আমাদের কথা সত্য ছিল।’ পাঁচ দিনের সফরের অংশ হিসেবে তিনি পটুয়াখালী, গলাচিপা ও দশমিনার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও মতবিনিময় করছেন।