ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত : দোষ স্বীকার করলেন অপূর্ব

ধর্ম অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগের মামলায় ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সেই অপূর্ব পাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহের আদালতে তিনি এ স্বীকারোক্তি দেন।
এদিন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) চাঁদ মিয়া আসামি অপূর্ব পালকে আদালতে হাজির করেন। একইসঙ্গে তিনি আদালতে আসামিকে স্বীকারোক্তি দেওয়ানোর আবেদন করেন। এরপর বিচারকের কাছে আসামি দোষ স্বীকার করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গত ৪ অক্টোবর রাতে কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিও ক্লিপগুলোতে অপূর্ব পাল পবিত্র কোরআন অবমাননা করেছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়। একপর্যায়ে তাকে গ্রেপ্তারের দাবিও জানানো হয়। ৪ অক্টোবর দিনগত রাত ১টার দিকে অপূর্ব পালের বাসার সামনে জড়ো হতে থাকেন ক্ষুব্ধ অনেকে। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে তাকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করে ভাটারা থানা পুলিশ। প্রথমে তাকে আটক করতে জনতার সহায়তা চায় পুলিশ। জনতার তরফেও পুলিশকে সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়। একপর্যায়ে পুলিশ অপূর্বকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজিত জনতা তাকে মারধর শুরু করে। জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের ওপরও ক্ষিপ্ত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ সদস্য ডেকে নেওয়া হয়।
পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনায় ৫ অক্টোবর ভাটারা থানার এসআই হাসমত আলী মামলা করেন। পরদিন এ মামলায় অপূর্বকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর গত ১৪ অক্টোবর তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
অপূর্ব নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া, কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী।