মা-মেয়ে হত্যা : গৃহকর্মী আয়েশার স্বামীর স্বীকারোক্তি
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়েকে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশা আক্তারের স্বামী রাব্বী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ সোমাবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার (এসআই) মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মিজানুর রহমান বলেন, গতকাল রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রিপন হোসেন তার জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন।
মিজানুর রহমান আরও বলেন, গতকাল তিনদিনের রিমান্ড শেষে রাব্বীকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সহিদুল ওসমান মাসুম। এছাড়া এ মামলায় আয়েশা আক্তার এখনও রিমান্ডে রয়েছেন বলে জানান মিজানুর রহমান।
নথি থেকে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাব্বীর তিনদিন এবং আয়েশার ছয়দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন ঢাকার সিএমএম আদালত।
এর আগে গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে আয়েশা ও তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৮ ডিসেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুরের এক বাসায় ৪৮ বছর বয়সী লায়লা আফরোজ এবং তার ১৫ বছর বয়সী মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে গলা কেটে খুন করা হয়। ওই বাসায় কাজ করতেন আয়েশা। সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে ঘটনার আগে পরে কেবল তাকেই ওই বাসায় ঢুকতে এবং বের হতে দেখা যায়। হত্যাকাণ্ডের দিন সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন লায়লার স্বামী আজিজুল ইসলাম। তার দুই দিন পর আয়েশা ও তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার বাদী আজিজুল ইসলাম উত্তরার সানবিমস স্কুলের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক। স্ত্রী ও একমাত্র কন্যাকে নিয়ে ওই বাসায় প্রায় ১৩ বছর ধরে বসবাস করে আসছিলেন তিনি। তাদের গ্রামের বাড়ি নাটোরে। প্রতিদিনের মতো সোমবার সকাল ৭টার দিকে স্কুলের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বেরিয়ে যান আজিজুল। স্কুলে পরীক্ষা চলমান থাকায় বাসায় ফেরেন তাড়াতাড়ি। জোড়া খুনের এ ঘটনায় আগামী ১৩ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালত প্রতিবেদক