লুট হওয়া কোটি টাকার সার উদ্ধার নৌপুলিশের

বাল্কহেডের স্টাফদের সহায়তায় লুট হওয়া কোটি টাকার ডিএপি সার উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কুমিল্লার নিকটবর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় এই ঘটনা ঘটে।
আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) নৌ-অঞ্চল ঢাকার নৌপুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে মূল আসামি (মাস্টার মাইন্ড) নরসিংদীর আলমগীর (৩৬), কিশোরগঞ্জের জসিম উদ্দিন (৩৭) এবং বাগেরহাটের মো. আ. রহিম খানকে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আব্দুল্লাহ আল মামুন আরও জানান, গত ৮ অক্টোবর মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর থেকে বাল্কহেড এম বি হাসান ৬৩৪০ বস্তা আমদানি করা (মূল্য কোটি টাকা) ডিএপি সার নিয়ে সুনামগঞ্জের বিএডিসি গোডাউনের উদ্দেশে রওনা করে। সার বোঝাই বাল্কহেডটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার মানিকনগর ঘাটে নোঙর করে। ইঞ্জিনের ত্রুটির কথা বলে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত একই ঘাটে অবস্থান করে। গত ১০ অক্টোবর বাল্কহেডটি পুনরায় চলা শুরু করে। আনুমানিক ঘণ্টাখানেক চলার পর মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের গতি কমিয়ে দিলে একটা ট্রলার ওই বাল্কহেডের সঙ্গে রশি দিয়ে বাঁধে। এ সময় দুজন বাল্কহেডে থাকা স্টাফ যোগ দেয়। এরপর সারের ডিলারের এজেন্টকে হাত-মুখ বেঁধে ভয় দেখিয়ে ট্রলারে উঠায়। এদিকে সার বহনকারী বাল্কহেড অন্যত্র চলে যায়। সে সময় ওই ট্রলারে থাকা দুজনের সঙ্গে বাল্কহেডের দুজন স্টাফও ট্রলারে নেমে যায়। সারের ডিলারের প্রতিনিধিকে নিয়ে ট্রলারটা মেঘনা নদীতে বিভিন্ন স্থান ঘোরাঘুরি করে ওই দিন বিকেলে নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার আব্দুল্লাহর চর নামক স্থানে তাকে মারধর করে নামিয়ে দেয়। এরপর থেকে বাল্কহেডের কোনো স্টাফের সঙ্গে সারের ডিলার এবং তাদের অফিসের কেউ কোনো ধরনের যোগাযোগ করতে পারেনি। সব স্টাফের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অভিযোগ পেয়ে নৌপুলিশের একাধিক দল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার নোয়াগাঁও বাজার সংলগ্ন তিতাস নদীর শাখা দেওজুড়ী খাল থেকে সার বহনকারী বাল্কহেড জব্দ করে। পরে স্থানীয় বাজারের এক গোডাউন এবং তিতাস নদী তীরবর্তী গ্রামের এক বাড়ি থেকে লুণ্ঠিত সার উদ্ধার করে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এ ঘটনায় নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানায় নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা ডাকাত আলমগীরের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও চাঁদাবাজির সাতটি, জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির একটি, আ. রহিমের বিরুদ্ধে মারামারি/ নারী ও শিশু নির্যাতন দামন আইনে দুটি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণসহ পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে ঢাকা অঞ্চলের নৌপুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।