নিরপেক্ষ নির্বাচনে প্রশাসন-বিচার বিভাগ সংস্কারের দাবি বিএনপির

আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অর্থবহ, নিরপেক্ষ এবং সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য করে তোলার দাবি প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছে বিএনপি।
আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজ আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম। আমাদের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক উদ্বেগ নিয়ে কথা বলার জন্য। বিশেষ করে আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অর্থবহ, নিরপেক্ষ এবং সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য করে তোলার বিষয়টি ছিল আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছি—এই মুহূর্ত থেকে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কার্যত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে পরিচালিত করতে হবে, যাতে জনগণের আস্থা ফিরে আসে এবং প্রশাসন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রথমেই আমরা বলেছি, প্রশাসনে যে সব কর্মকর্তা অতীত সরকারের ঘনিষ্ঠ বা দলীয় বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত, তাদের সরিয়ে দিয়ে সেখানে নিরপেক্ষ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিতে হবে। একইভাবে জেলা প্রশাসন ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও বদলির ক্ষেত্রেও নিরপেক্ষতার নীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করার দাবি জানিয়েছি।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আমরা আরও জানিয়েছি, পুলিশ বাহিনীতে নতুন নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রেও নিরপেক্ষতা বজায় রাখা জরুরি। কোনোভাবেই রাজনৈতিক প্রভাব যেন সেখানে প্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এছাড়া বিচার বিভাগের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে উচ্চ আদালতে যারা এখনও দলীয় পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে আছেন, তাদের অবসারণ করে নিরপেক্ষ বিচারক নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা আমরা তুলে ধরেছি। যদিও বিচার বিভাগ স্বাধীন, তবু প্রধান উপদেষ্টার সামগ্রিক দায়িত্বের জায়গা থেকে আমরা এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আমরা মনে করি, সরকারকে সম্পূর্ণভাবে দলীয় প্রভাবমুক্ত ও নিরপেক্ষ অবস্থায় পরিচালিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে।
এই বিষয়ে আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের সুস্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরেছি এবং তিনি আমাদের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন বলে জানান মির্জা ফখরুল।