‘ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে সবার আগে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও নিরাপদ পর্যটন’
এনটিভি অনলাইনের মুখোমুখি ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও বিসিএস ২৪ ব্যাচের এই কর্মকর্তা দীর্ঘ আট বছর ধরে ট্যুরিস্ট পুলিশে কর্মরত। তিনি কাজ করেছেন রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ট্যুরিস্ট পয়েন্টে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এনটিভির স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট জাহিদুর রহমান।
২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত কক্সবাজার রিজিয়নে দায়িত্ব পালন করেছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি যোগদান করেছেন। এবারের বিশেষ অভিজ্ঞতা কী?
আপেল মাহমুদ : গত বছরের ৫ আগস্টের পর এখানে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য রীতিমতো আগ্রাসী ছিল। প্রথম দিকে পুলিশের স্থবির কার্যক্রমের সুযোগে তাদের অপরাধের মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ট্যুরিস্ট পুলিশের টিম ৩০ জন পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে।
অপরাধীদের তালিকায় রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের ঘটনাও দেখা যাচ্ছে। সৈকতে তাদের তৎপরতায় পর্যটকরা উৎকণ্ঠায় ভোগেন। এই বিষয়ে আপনি কী বলবেন?
আপেল মাহমুদ : অনুপ্রবেশের সংখ্যাটা অসংখ্য। আমাদের গ্রেপ্তারের তালিকায় অনেক রোহিঙ্গা ছিল। এদের মধ্যে অনেককেই আমরা শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠিয়েছি। অবশিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৩৪ জন ভাসমান অপরাধীকে গ্রেপ্তার ছাড়াও উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাইকৃত ২৬টি মোবাইলফোন। এ ছাড়াও দেড়শটির মতো হারিয়ে যাওয়া শিশুকে উদ্ধার করে অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করেছি।
সৈকতে নতুন উপদ্রবের নাম টিকটক গ্রুপ। এদের অপরাধের মাত্রাটা কেমন?
আপেল মাহমুদ : আমরা লক্ষ্য করেছি, একটি গ্রুপ নারী পর্যটকদের সমুদ্রে গোসলের দৃশ্য গোপনে ধারণ করে তা টিকটকে ছেড়ে দিত। মূলত ‘ভিউ ব্যবসা’র জন্যই তারা এসব করত। তাদের কার্যকলাপে পর্যটকদের ব্যক্তিগত মুহূর্ত ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছিল। আমরা সেই গ্রুপটিকে গ্রেপ্তার করেছি। যার ফলে গত ছয় মাসে পর্যটন নগরীতে বড় কোনো অঘটন ঘটেনি।
সৈকতের বালিয়াড়ি দখল নিয়ে চলছে অস্থিরতা। এই পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে ঠেকবে?
আপেল মাহমুদ : রাতের অন্ধকারে কিছুদিন আগে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের ঝাউবাগান ও বালিয়াড়ি দখল করে একটি চক্র সেখানে মার্কেট বসায়। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে বাধা দিই। তখন তারা কার্ড দেখিয়ে দাবি করে, জেলা প্রশাসনের অনুমোদন রয়েছে। আসলে এই অনুমোদনের আড়ালে চলেছে ব্যাপক অবৈধ অর্থের লেনদেন। বরাদ্দ কয়েক হাত বদল হয়ে দুষ্কৃতকারীদের হাতে পৌঁছেছে, যারা চড়া মূল্যে দোকান বিক্রি করেছে।
আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছি, প্রশাসনের দেওয়া কার্ড হস্তান্তরযোগ্য নয় এবং বালিয়াড়ি দখল করে দোকান বসানো যাবে না। সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় অবৈধভাবে গজিয়ে ওঠা শতাধিক দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। তবু কার্ডধারী অবৈধ ব্যবসায়ীরা এখন পুনর্বাসনের দাবি করছে। পুরোনোদের নবায়ন না করে নতুন অনেককে কার্ড দেওয়ায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত করার ঝুঁকি তৈরি করেছে।
আমরা ইতোমধ্যে বালিয়াড়ি দখল করে অবৈধভাবে বসা ঝিনুক মার্কেট উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছি। এখানে জেলা প্রশাসনের গাফিলতি ছিল- প্রয়োজনীয় স্থান নির্ধারণ না করেই শত শত কার্ড বিলি করে এমন জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি সৈকতের চেয়ার ভাড়া নিয়েও কিছু কিটকট ব্যবসায়ীর নৈরাজ্য শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
১২টি নির্দেশনা দিয়ে সেন্টমার্টিন খুলছে ১ নভেম্বর। আপনাদের প্রস্তুতি কেমন?
আপেল মাহমুদ : নিরাপত্তার দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই। সেন্টমার্টিনে আমাদের টিম সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। তবে আমরা পরিবেশ সুরক্ষা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিশেষ নজর রাখব। অনুমোদিত পর্যটকের বাইরে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। সেন্টমার্টিন রক্ষার স্বার্থে ওভার ট্যুরিজম যাতে না হয়, সে বিষয়েও আমাদের কঠোর নজরদারি থাকবে। পর্যটকদের মনে রাখতে হবে, সেন্টমার্টিন আমাদের সম্পদ এবং সেটি রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদেরই।
সৈকত নগরীতে এই মুহূর্তে আপনাদের চ্যালেঞ্জ কোনটা?
আপেল মাহমুদ : বর্তমানে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ নেই। তবে উদ্বেগের একটি বিষয় হলো চাঁদাবাজি। বিভিন্ন হোটেল ও মোটেলে অনেকে চাঁদাবাজি করছে, যার অনেককেই আমরা গ্রেপ্তার করেছি। পাশাপাশি যারা গোপনে চাঁদাবাজি চালাচ্ছে এবং যারা তাদের আশ্রয় দিচ্ছে, তাদেরকেও আমরা সনাক্ত করছি।
ইদানীং পর্যটন এলাকায় মাদকের বিস্তার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই বিষয়ে আপনি কী বলবেন?
আপেল মাহমুদ : ঠিকই বলেছেন। কিছু হোটেল ও মোটেলে মাদকের আখড়া তৈরি হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে, কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনের হাইপেরিয়ান হোয়াইট প্যালেস হোটেলে গত ২২ অক্টোবর অতিরিক্ত মদ্যপানে এক পর্যটকের মৃত্যু ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই নারীসহ চারজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে, হোটেল ব্যবসায়ীরা অনেকেই মাদক সরবরাহ করছেন। আমাদের স্পষ্ট নির্দেশ, হোটেল-মোটেলগুলোতে মাদকের কোনো আস্তানা থাকবে না।
কক্সবাজারে পর্যটকদের কাছে আতঙ্কের নাম গুপ্তখাল। মৃত্যুর মিছিলে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন প্রাণ। এই মৃত্যু কীভাবে এড়ানো যায়?
আপেল মাহমুদ : বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে একাধিক গর্ত বা গুপ্তখাল সৃষ্টি হয়, যেখানে সমুদ্রের পানিতে উল্টো স্রোতের টান বেশি থাকে। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও অনেক অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় পর্যটক ঝুঁকিপূর্ণ এই স্থানে গোসলে নামেন এবং লাল নিশানা উপেক্ষা করেন। এর ফলশ্রুতিতে অনেকে শেষ পর্যন্ত প্রিয়জনের কাছে লাশ হয়ে ফেরেন। পর্যটকদের মনে রাখতে হবে, সৈকতে মানুষ আসে আনন্দ করতে, জীবন উপভোগ করতে, জীবন হারাতে নয়।
কটেজ জোনে অনৈতিক কার্যকলাপের খবর রয়েছে। এমনকি সুড়ঙ্গ রুম নিয়েও নানা আলোচনা রয়েছে। এ সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কী?
আপেল মাহমুদ : পর্যটকদের অনেকেই তাদের সঙ্গীদের সাথে কটেজ জোনে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হয়েছেন। আমরা দেখেছি, কিছু কটেজ রুমে ২৫-৩০ জন তরুণী রেখে অনৈতিক কার্যকলাপ চালানো হতো। আমাদের প্রশ্ন, কক্সবাজারের মতো পর্যটন এলাকায় সুড়ঙ্গ রুম কেন থাকবে? কারণ অপরাধীরা অপকর্মের পর এই সুড়ঙ্গ ব্যবহার করে নিরাপদে পালাত। আমরা সেখানে অভিযান চালিয়ে এসব সুড়ঙ্গ রুমের অনৈতিক ব্যবসা বন্ধ করেছি। মনে রাখতে হবে, অনৈতিক ব্যবসা ও বেলাল্লাপনা পর্যটন ব্যবসাকে নষ্ট করে।
কক্সবাজারে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনে আপনার সেরা অর্জন কোনটি?
আপেল মাহমুদ : পরিবেশ রক্ষায় আমরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পেরেছি। এর ফলে লাখ লাখ পর্যটকের জন্য নিরাপদ সৈকত নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি।
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘোষণা করা হলো। ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা বিদেশি পর্যটকদের আগমন বাড়বে। আপনাদের প্রস্তুতি কেমন?
আপেল মাহমুদ : আমরাও আশা করছি বিদেশি পর্যটক কক্সবাজারে আরও বৃদ্ধি পাবে। তাদের সুবিধার্থে এয়ারপোর্টে আলাদা হেল্প ডেস্ক স্থাপন এবং বিশেষ টিম চালু করা হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ নিয়ে তথ্যের অবাধ প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা হবে এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা হবে। উদাহরণস্বরূপ, সম্প্রতি কক্সবাজারে ঘুরতে আসা রাশিয়ান তরুণী মনিকা কবিরের হারিয়ে যাওয়া মানিব্যাগ মাত্র দুই দিনের মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। ব্যাগ ফিরে পেয়ে তিনি উচ্ছ্বসিত হন এবং ট্যুরিস্ট পুলিশকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি। এটিও আমাদের জন্য একটি অসাধারণ সাফল্য।
সৈকতের নতুন উপদ্রব বিচ বয়। এদের নিয়ন্ত্রণ করবেন কীভাবে?
আপেল মাহমুদ : বডি ম্যাসাজের আড়ালে বিচ বয়রা ছিনতাইয়ের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে থাকে। এই উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে ট্যুরিস্ট পুলিশ তৎপর। এর আগে সৈকতে হিজড়াদের উৎপাতও সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। ট্যুরিস্ট পুলিশ অসংখ্য বিচ বয়কে সৈকত থেকে বিতাড়িত করেছে। তবে, পর্যটকরা যদি এই বিচ বয়দের ব্যবহার করেন, তবে তা টুরিস্ট পুলিশের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করে। তাই নিরাপদ থাকার জন্য এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিদের এড়িয়ে চলার ব্যাপারে আমরা পর্যটকদের সচেতনতা প্রত্যাশা করি।
সৈকতে ইভটিজিং নিয়ে অনেকের অভিযোগ। সুরাহা কতদূর?
আপেল মাহমুদ : পর্যটকদের অনেকেই মনে করেন, সমুদ্র সৈকত তাদের যা ইচ্ছা তাই করার জায়গা। এটা ভুল। হোটেলে অতিরিক্ত মদ্যপানে মাতাল হওয়া, বিচে মোটরসাইকেল চালানো, হোটেলের টিভি ভেঙে ফেলা, অন্যের স্ত্রীর প্রতি অশালীন আচরণ, ইভটিজিং- এসব অপরাধ বরদাশত করা হবে না। ইভটিজিং করার অপরাধে আমরা স্থানীয় অপরাধী ছাড়াও অনেক পর্যটককে আটক করেছি।
পিক সিজনে হোটেল-মোটেলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়। খাবারের বাড়তি মূল্য। পচা-বাসি খাবার পরিবেশন- এগুলো নিয়েও তো পর্যটকদের অভিযোগের শেষ নেই! এই বিষয়ে আপনি কী বলবেন?
আপেল মাহমুদ : দালাল ও তৃতীয় পক্ষের কারণে অনেক পর্যটক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। রিজার্ভেশন দেওয়ার পরও তারা রুম পান না, কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে। হোটেল ভাড়ায় এ দালালদের প্রভাব ছড়িয়েছে। এছাড়াও সামুদ্রিক মাছের বাজারে বিক্রি হচ্ছে পচা মাছ, কলাতলীতে গড়ে উঠেছে ভেজাল ফিস ফ্রাই মার্কেট। আমরা এসব বিষয় নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেছি। তবে মনে রাখতে হবে, এটি আমাদের একার কাজ নয়; ভোক্তা অধিকার সংস্থা এবং হোটেল-মালিক সমিতিরও বড় দায়িত্ব রয়েছে।
তাহলে বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির কাজ কী?
আপেল মাহমুদ : বিচ ম্যানেজমেন্টের কর্মীদের কার্যক্রমে কোনো সমন্বয় নেই বললেই চলে। জেলা প্রশাসনের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আত্মীয়-স্বজনের নাম ব্যবহার করে সৈকতের বালিয়াড়িতে ব্যবসায়ী পরিচয়ে কার্ড সংগ্রহ করা হয়েছে। এই দুষ্টু চক্রের কারণে পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোলাটে হয়ে উঠছে। কার্ড প্রদান ও নবায়ন প্রক্রিয়ায় জেলা প্রশাসনকে আরও সতর্ক হতে হবে। এছাড়াও, কারা ক্যামেরাম্যান বা হর্স রাইডারের পারমিশন পাচ্ছে- এ বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেটদের আরও আন্তরিক ও সতর্ক নজরদারি প্রয়োজন।
দ্বিতীয় মেয়াদে বছর পূর্তির আগেই ঢাকায় ফিরতে হচ্ছে। কোনো আক্ষেপ?
আপেল মাহমুদ : না, না, মোটেই না। আমাদের চাকরিই তো বদলির- সরকার যেখানে ভালো মনে করবে, সেখানেই বদলি হবে। আমরা এখানে চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করেছি এবং নতুন যারা আসবেন, তাদেরকেও সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষায় ট্যুরিস্ট পুলিশের কাজে এখানে কোনো ব্যক্তি বিশেষের অবদান নয়, এটি পুরো টিমের কাজ। এটি একটি টিমওয়ার্ক, যেখানে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সমন্বয় প্রয়োজন।
তবে একটি আক্ষেপ আছে- গণমাধ্যমের অনেকেই কেবল ভিউ পাওয়ার জন্য নিউজ করেন, অর্থাৎ ‘নিউজ ফর ভিউজ’। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নিজের পোর্টালের হাইলাইট করার জন্য কক্সবাজারকে অন্যায্যভাবে পচানোর নিউজ থেকে বিরত থাকতে হবে। দায়িত্বশীল হতে হবে। হোটেল-মোটেল মালিক সমিতিকে আরও দায়িত্ববান হতে হবে, যাতে তারা পর্যটকদের ‘ফ্লাইং পর্যটক’ না মনে করে, বরং ‘মেহমান’ হিসেবে বিবেচনা করে। অনেক পর্যটক হয়রানির শিকার হলেও মুখ বুজে সহ্য করেন এবং এটি তাদের কাছে কক্সবাজার সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা দেয়। মনে রাখতে হবে, পর্যটকদের মুড সার্বক্ষণিক পরিবর্তনশীল- তাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

জাহিদুর রহমান