চলনবিলে সরিষা চাষের ধুম, বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকেরা
বর্ষার স্রোত থেমে গিয়ে উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তম জলাভূমি চলনবিল থেকে দ্রুত পানি কমতে শুরু করেছে। চারদিকে দেখা দিচ্ছে চেনা মাঠ, আর এই সুযোগে সরিষা চাষের প্রস্তুতিতে মাঠে নেমে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা। শরতের শেষ ভাগে এখন উৎসবের আমেজ চলনবিলজুড়ে।
চলনবিল অঞ্চলের সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, নাটোরের সিংড়া, গুরুদাসপুর ও পাবনার চাটমোহরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন জমি প্রস্তুত, বীজ বপন ও আগাছা পরিষ্কারের কাজে। কেউ জমিতে চাষ দিচ্ছেন, কেউবা আগাম জাতের সরিষা বপনে মনোযোগ দিয়েছেন।
তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল হালিম জানান, বর্ষার পানি নামতেই জমি শুকাতে শুরু করেছে। এখনই সরিষা বপনের উপযুক্ত সময়। আমরা আগাম জাতের সরিষা বুনলে ডিসেম্বরের শেষের দিকে ফুল আসবে, আর জানুয়ারিতেই ভালো ফলন পাবো।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলনবিল এলাকায় এ মৌসুমে কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার চাষের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এর প্রধান কারণ, পানি নেমে যাওয়ায় এবার অনেক অনাবাদি জমিও আবাদের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে।
মাঠজুড়ে কৃষকের পদচারণায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে চলনবিল। চারদিকে হালচাষ, বীজ বপন আর কৃষকের ব্যস্ততায় মুখর হয়ে উঠেছে বিলের মাঠ। কৃষকেরা দৃঢ়ভাবে আশা করছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার সরিষার ফলন হবে বাম্পার, যা অর্থনৈতিকভাবে তাদের সমৃদ্ধি আনবে।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শর্মিষ্ঠা সেন গুপ্তা বলেন, চলনবিল অঞ্চলের মাটি তেল ও বীজ ফসলের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। আমরা কৃষকদের উন্নত জাতের সরিষা চাষে উৎসাহিত করছি। এতে শুধু উৎপাদনই বাড়বে না, তেলের চাহিদা পূরণেও স্থানীয়ভাবে বড় অবদান রাখবে।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)