গত কয়েকদিনের আন্দোলনের জেরে নীলফামারীর উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) রোববার চারটি প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে শ্রমিকরা ইপিজেড এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছে।

বন্ধ ঘোষণা করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, ইপিএফ প্রিন্ট লিমিটেড, মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড ও সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।

শ্রমিক বিক্ষোভের খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, আমাদের ভেতর অনেকেই বেতন বাড়ানোরসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আন্দোলন করে আসছিল, আমি যদিও এই আন্দোলনে ছিলাম না। হঠাৎ কারখানা বন্ধ হয়ে গেল, এখন পরিবার নিয়ে কীভাবে চলব বুঝতে পারছি না।

স্থানীয় বাসিন্দা আরমান হোসেন বলেন, এই শ্রমিকরা কোনো কথা-বার্তা নেই, কিছু হলেই আন্দোলন। এরা কাজ করতে আসে না, এরা আসে আন্দোলন করতে। আমরা এই ইপিজেডের আশায় লোন নিয়েছি, কীভাবে চলব যদি এই কোম্পানিগুলো বন্ধ হয়ে যায়? কী করব? এই শ্রমিকরা কোনো কিছু না বুঝে অযথা আন্দোলন করে।

শ্রমিকদের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে ইপিজেড এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার এ এফ এম তারিক হোসেন খান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। শ্রমিকদের যৌক্তিক সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এখন তারা কিছু অযৌক্তিক দাবি করছে।