দেশজুড়ে আলোচনায় শেখ হাসিনার রায়
আজ সকাল ৯টা। বসুন্ধরা শপিং মলে চা খেতে আসেন তিন তরুণ, এক বৃদ্ধাসহ আরও কয়েকজন মানুষ। সবার চোখ হাতে থাকা মোবাইলের স্ক্রিনে, আর আলোচনার একমাত্র বিষয়— শেখ হাসিনার রায়। তাদের মধ্যে দু-একজন ফাঁসির পক্ষে মত দিলেও অনেকের মত ভিন্ন। তবে একটি বিষয়ে প্রায় সবাই একমত— দেশে ফিরিয়ে এনে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হোক।
বসুন্ধরা শপিং মলের পাশেই কাউসারের ভাতের হোটেল। সকালের নাস্তা খেতে খেতেও চলছে শেখ হাসিনার রায় নিয়ে আলোচনা। কাউসারের দোকানে যারা ঢুকছেন, তাদের বেশিরভাগই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায় নিয়ে নিজেদের মতামত দিচ্ছিলেন।
বসুন্ধরা শপিং মলে একটি শোরুমে চাকরি করেন মিজান নামে এক যুবক। তিনি বলেন, “যদি রায় শাস্তিমূলক হয়, তাহলে এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ক্ষমতার ভারসাম্যের ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে। দেশজুড়ে হাঙ্গামা শুরু হবে। আমাদেরই যত জ্বালা।”
আজ সকাল সাড়ে দশটা। প্রতিদিন এ সময় শিক্ষার্থীদের পদচারণায় টিএসসি এলাকা মুখরিত থাকলেও আজ দেখা গেল নীরবতার চাদরে ঢাকা। এরপর সামনে এগোতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমারজেন্সি গেটে দেখা গেল ১৫ থেকে ২০ জনের জটলা। কাছে যেতেই জানা গেল, শেখ হাসিনার রায়ের ঘোষণার অপেক্ষা করছেন সবাই। প্রত্যাশিত রায় হলে আনন্দ মিছিল করবেন বলেও জানালেন তারা।
এরপর শহীদ মিনার এলাকাতেও একই চিত্র দেখা গেল। সবার মুখে শেখ হাসিনার রায়— চোখও একই প্রত্যাশায় নিবদ্ধ।

নিজস্ব প্রতিবেদক