লালমনিরহাট সীমান্তে হত্যা : ৬ দিন পর বিএসএফের দুঃখ প্রকাশ
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশি এক নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় ছয় দিন পর পতাকা বৈঠকে দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ ঘটনাকে সামনে রেখে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ের বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জগতবেড় ইউনিয়নের নাজিরগোমানী এলাকার ব্রিটিশ সড়কের কাছে—বাংলাদেশ অংশে প্রায় ১০০ গজ ভেতরের জায়গায়—এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, গত ৪ ডিসেম্বর রাতে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি মারা যাওয়ার প্রেক্ষাপটে বিজিবি ব্যাখ্যা দাবি করে বৈঠকের উদ্যোগ নেয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এস এম শফিকুর রহমান। ভারতের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন গোপালপুর সেক্টর কমান্ডার ডিআইজি ডি এস রাঠোর।
আলোচনার একপর্যায়ে বিএসএফ প্রতিনিধি দল দুঃখ প্রকাশ করে জানায়, চোরাকারবারীরা কাঁটাতার ভাঙতে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে এ ঘটনা ঘটে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে কঠোর সতর্কতা নেওয়ার আশ্বাসও দেন তারা।
বৈঠকে অবৈধ অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, মানুষকে পুশ-ইন করা, সীমান্তঘেঁষে তিন ফুটের বেশি উচ্চতার ফসল না চাষ করা এবং ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কাঁটাতারের কাছাকাছি না যাওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়। দু’দেশের সেক্টর কমান্ডাররা বলেন, সীমান্তে কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের (তিস্তা-২) অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুমসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)