শীতে বিপর্যস্ত দিনাজপুর, তাপমাত্রা নেমেছে ১০ ডিগ্রিতে
উত্তরের সীমান্তঘেঁষা জেলা দিনাজপুরে শীতের তীব্রতা ক্রমেই বাড়ছে। ডিসেম্বরের শুরুতেই হঠাৎ করে নেমে আসা কনকনে ঠান্ডা, ঘন কুয়াশা ও বাড়তি আর্দ্রতার কারণে জেলার স্বাভাবিক জনজীবন কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। সকাল গড়িয়ে কিছু সময় সূর্যের দেখা মিললেও শীতের দাপট কমেনি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সড়ক, হাটবাজার ও খোলা জায়গায় মানুষের চলাচল থাকে সীমিত। অধিকাংশ মানুষকে দেখা গেছে ভারী শীতবস্ত্রে নিজেদের ঢেকে রাখতে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল প্রায় ৯৪ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও তীব্র করে তুলেছে।
জেলার খানসামা, বীরগঞ্জসহ আশপাশের উপজেলার মানুষ সবচেয়ে বেশি শীতের কষ্ট অনুভব করছে। ভোরবেলার প্রচণ্ড ঠান্ডায় দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষের কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হলেও অনেকেই শীতের কাছে হার মানছেন।
খানসামার নেউলা গ্রামের আবেদ আলী বলেন, ‘এখনকার ঠান্ডা সহ্য করা খুব কষ্টকর। সকালে বাইরে বের হতেও ভয় লাগে।’
দক্ষিণ পাকেরহাট এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মান্নান জানান, ‘সকালের ঠান্ডায় কাজে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। সামনে আরও ঠান্ডা পড়লে কী হবে আল্লাহই জানেন।’
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আজ দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুরে। গত কয়েক দিনের তুলনায় তাপমাত্রা আরও কমেছে। দিনের বেলায় কিছুটা রোদ থাকলেও রাত ও ভোরে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে।’
দিনের বেলায় সূর্যের আলো থাকলেও সকাল ও বিকেলের কনকনে হাওয়া, ঘন কুয়াশা ও আর্দ্রতার প্রভাবে পুরো দিনাজপুর জেলাজুড়েই শীতের প্রভাব আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।

মাসুদ রানা, দিনাজপুর (বীরগঞ্জ-খানসামা)