৩০ টন ভেজাল সার জব্দ
গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি অবৈধ ভেজাল সার কারখানার সন্ধান পেয়ে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। অভিযানে প্রায় ৩০ টন ভেজাল সার ও সার তৈরির কাঁচামাল জব্দ করা হয়েছে।
আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি গ্রামে স্থানীয় সানজিদা বেগমের গুদামে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজীব আহমেদ। অভিযুক্ত কারখানা মালিকের নাম মো. আনারুল ইসলাম আলিফ (৩০)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার ধারা গ্রামের বাসিন্দা।
গুদাম মালিক সানজিদা বেগম জানান, মাসিক ভাড়া হিসেবে আলিফ নামের এক ব্যবসায়ী গুদামটি ভাড়া নিয়েছিলেন। সেখানে ভেজাল সার তৈরি হতো কি না, তা তার জানা ছিল না। অভিযুক্ত আনারুল ইসলাম আলিফের ব্যক্তিগত মোবাইলফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল আলম বলেন, স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে একটি পরিত্যক্ত গুদামে ভেজাল সার তৈরির খবর পেয়ে কৃষি বিভাগ সেখানে অনুসন্ধান চালায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, মাটি ও ইটের গুঁড়া প্রক্রিয়াজাত করে বিভিন্ন নামি-দামি ব্র্যান্ডের সারের মোড়কে প্যাকেটজাত করে মজুদ করে রাখা হয়েছে।
মাহবুবুল আলম আরও জানান, জব্দকৃত সারের মধ্যে রয়েছে ১০ টন আলিফ জিপসাম, ৪ টন পাওয়ার জৈব সার, ৩ টন শক্তি জিংক প্লাস, ২ টন গ্লোজিং, ২ টন খোলা জিপসাম, ২ টন ইটের গুঁড়া, ৫ টন সাদা মাটি, ৫০০ কেজি রোটন প্লাস, ২৫ বস্তা জিপসামের কাঁচামাল এবং ১১ বস্তা জিংকের কাঁচামাল। এছাড়াও ২০ বছর আগে নিষিদ্ধ হওয়া ২ কার্টন বাসুডিন জব্দ করা হয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজীব আহমেদ বলেন, ভেজাল সার তৈরির কারখানার খবর পেয়ে আমরা অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩০ টন ভেজাল সার ও কাঁচামাল জব্দ করেছি। এগুলো কোনোভাবেই সার নয়, মাটি আর ইটের গুঁড়া দিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল। অভিযানের খবর পেয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ পালিয়ে গেছে। আমরা কারখানার মেশিন খুলে এনেছি এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছি।

আব্দুর রউফ, গাজীপুর (শ্রীপুর)