হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে রাজধানীতে সংস্কৃতিকর্মী সমাবেশ ও মিছিল
রাজধানীর তোপখানা রোডের সত্যেন সেন চত্বরে শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচার এবং উদীচী, ছায়ানট, প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ সারা দেশে নব্য ফ্যাসিবাদী হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে সংস্কৃতিকর্মী সমাবেশ ও মিছিল করা হয়। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রতিবাদী এই কর্মূসচির আয়োজন করে গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্য।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের জাকির হোসেন ও কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, বাংলাদেশ থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শাহ আলম, সমাজ অনুশীলন কেন্দ্রের সংগঠক রঘু অভিজিৎ রায়, মওলানা ভাসানী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. হারুনুর রশীদ, প্রগতি লেখক সংঘের কোষাধ্যক্ষ দীনবন্ধু দাশ, সমাজ চিন্তা ফোরামের আহ্বায়ক কামাল হোসেন বাদল, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সুস্মিতা রায় সুপ্তি, রিকশা–ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি– সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ প্রমুখ।
মশাল মিছিলের শুরুতে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের আহ্বায়ক জামসেদ আনোয়ার তপন, বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লালটু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডকে পুঁজি করে একটি মহল দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে নির্বাচন বাতিলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর যারা এটা করছে দেশে নির্বাচন না হলেই তাদের লাভ। উদীচীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা নব্যফ্যাসিবাদী আক্রমণ বলে উল্লেখ করেন বক্তারা। বক্তারা শরিফ ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন।
গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের আহ্বায়ক জামসেদ আনোয়ার তপন বলেন, উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠীর অব্যাহত উসকানিমূলক বক্তব্য এবং উদীচীর নাম ধরে ছাত্রশিবির নেতাদের দেওয়া হুমকির ধারাবাহিকতায় এই ন্যক্কারজনক হামলা সংগঠিত হয়েছে। প্রশাসনকে আগে থেকেই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। সরকারের উদ্দেশ্যমূলক উদাসীনতা দেখে মনে হয়েছে এমন হামলা, নৈরাজ্য, প্রাণহানির জন্য উৎসাহ যোগানো হচ্ছে। তিনি ছাত্র শিবিরের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যলয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান ও রাকসু ভিপি, শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান জাহিদকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
সমাবেশ থেকে ব্যর্থ ও অথর্ব স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণ দাবি করা হয়। সমাবেশ শেষে একটি মশাল মিছিল পল্টন, জিপিও, গুলিস্তান হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক