দিনাজপুরে শীতের দাপট, কুয়াশা-ঠান্ডায় স্থবিরতা
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুরে শীতের দাপট দিন দিন বাড়ছে। ডিসেম্বরের শেষপ্রান্তে এসে কনকনে ঠান্ডা, ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। শীতের তীব্রতায় মানুষের স্বাভাবিক চলাচল কমে যাওয়ায় কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে জেলার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা।
আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘন কুয়াশার চাদরে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। সকাল থেকে শুরু হওয়া হিমেল বাতাস সারাদিন অব্যাহত থাকায় সড়ক, হাটবাজার ও খোলা জায়গাগুলোতে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো কম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
আরও পড়ুন : বায়ুদূষণে ১২৭ শহরের মধ্যে ঢাকা তৃতীয়
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস জানায়, মঙ্গলবার সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময়ে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল প্রায় ৯৩ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে খানসামা ও বীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শীতের প্রকোপ তুলনামূলক বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভোরের তীব্র ঠান্ডায় দিনমজুর ও রিকশাচালকসহ নিম্নআয়ের মানুষ কাজে বের হতে পারছেন না।
আরও পড়ুন : ঢাকার তাপমাত্রা কেমন থাকবে জানাল আবহাওয়া অফিস
খানসামা উপজেলার খামারপাড়া এলাকার বাসিন্দা ইউনুস আলী বলেন, ‘ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে বাইরে বের হওয়াই কঠিন। এই শীতে কাজকর্ম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।’ দুহশুহ গ্রামের বাসিন্দা জনাব আলী জানান, ঠান্ডার কারণে মাঠে ফসলের কাজ করা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন : শীত ও কুয়াশা নিয়ে পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে যা জানাল আবহাওয়া অফিস
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘বুধবার থেকে কুয়াশার ঘনত্ব কিছুটা কমতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। ডিসেম্বরের শেষ দিকে চলতি শীত মৌসুমের একটি পূর্ণাঙ্গ শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।’ জেলাজুড়ে তীব্র শীতের কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের দৃশ্যও চোখে পড়ছে।

মাসুদ রানা, দিনাজপুর (বীরগঞ্জ-খানসামা)