অথচ বেলা বোস বলে কাউকে চিনতেন না অঞ্জন দত্ত!
১৯৯৪ সাল, ২৪৪১১৩৯ নম্বরে ‘বেলা বোস’কে চাইলেন অঞ্জন দত্ত। এরপর এই বেলা বোস আর অঞ্জন দত্তকে ঘিরে বাঙালি ঘটিয়েছে এলাহি সব কাণ্ড। এই যেমন, কলকাতায় যখন সাত ডিজিটের টেলিফোন নম্বর এলো, তখন অঞ্জন দত্তের বেলার এই নম্বরের মালিকানা হিন্দি সংবাদপত্র ‘দৈনিক বিশ্বামিত্র’র।
প্রতিদিন শত শত মানুষ ওই নম্বরে খোঁজ নেয় বেলার। সেই যন্ত্রণায় মালিকপক্ষ মামলাও ঠুকতে চেয়েছিলেন অঞ্জন দত্তের নামে। এই এক গান যাঁকে এতটা জনপ্রিয়তা দিয়েছে, সেই গানের স্রষ্টা অঞ্জন দত্ত বেলা বোস নামে কাউকে চিনতেনই না। শুধু তা-ই নয়, দুই বাংলায় তুমুল আলোচিত এই কণ্ঠশিল্পী নিজের প্রথম পরিচয় গায়ক মনে করেন না। গায়ক, গীতিকার, সুরকার, অভিনেতা এবং পরিচালক, এই পরিচয়ের ভিড়ে নিজেকে প্রথমে অভিনেতা ভাবেন। তবে অভিনেতা হিসেবে তাঁর সময়ের পরিচালকেরা তাঁকে তেমন গুরুত্ব দেননি, এমন আক্ষেপ আজও করেন। এসব কথা নিজের একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন অঞ্জন দত্ত।
আজ সদাতরুণ অঞ্জন দত্তের জন্মদিন। ১৯৫৩ সালের ১৯ জানুয়ারি তাঁর জন্ম। ছেলেবেলা কাটে দার্জিলিংয়ে। সেখানকার সেইন্ট পল’স স্কুলে তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার্স করেছেন।
অঞ্জন দত্ত চেয়েছিলেন বিখ্যাত একজন হতে। সেটা হয়েছেন। ১৯৮১ সাল থেকে সিনেমায় অভিনয় করছেন। পরিচালনা করছেন ১৯৯৮ সাল থেকে। তবে নব্বই দশকে ‘বেলা বোস’, ‘রঞ্জনা’, ‘আমি বৃষ্টি দেখেছি’র মতো গান দিয়ে তিনি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। এর পরের অঞ্জন দত্তের গল্পটা সবারই কমবেশি জানা। অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা তিনি। তাঁর অভিনীত ও পরিচালিত সিনেমার ঘরানাও আলাদা। নাগরিক মানুষের হৃদয় তো ছুঁয়েছেনই, তাঁর গানজুড়ে রয়েছে অসংখ্য চরিত্র, যাঁরা শহরের অলিগলি থেকে ছুটে বেড়াচ্ছেন পাহাড়ের কোলে।