এনটিভিতে ইরফান-টয়ার ‘আমার অন্তরে’

Looks like you've blocked notifications!
নাটকের দৃশ্যে ইরফান সাজ্জাদ ও মুমতাহিনা টয়া। ছবি : সংগৃহীত

জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভিতে আগামীকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় প্রচার হবে একক নাটক ‘আমার অন্তরে’। আহসান হাবিব সকালের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন স্বরাজ দেব।

বাংলা মিডিয়া কমিউনিকেশন প্রযোজিত নাটকটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ ও মুমতাহিনা টয়া।

নাটকের গল্প এমন—শান ছবি আঁকতে পছন্দ করে। তাই সে বিভিন্ন লোকেশনে গিয়ে ছবি আঁকে। কিন্তু সে চোখে দেখে না। একদিন শানের ল্যাপটপ ছিনতাই হয়ে যায়। ল্যাপটপের জন্য শান খুব অস্থির হয়ে যায়। কারণ, ল্যাপটপে তার অনেক পুরোনো স্মৃতি আছে। কোনোভাবে শানের হারিয়ে যাওয়া ল্যাপটপটি রাইমার কাছে যায়। রাইমা ল্যাপটপ খুলে ওয়ালপেপারে নিজের  ছবি দেখে আশ্চর্য হয়ে যায়। পরে সে শানের ফেসবুকে রিকোয়েস্ট পাঠায়। শান চোখে দেখে না বিধায় বন্ধু জাবির তার ফেসবুক ব্যবহার করে রাইমার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করে আর শানের ফোন নম্বর দিয়ে দেয়। রাইমা শানকে ফোন করে, কিন্তু শান রাইমার কোনো কথা না শুনেই তাকে ইগনোর করে।

একদিন শান রাইমার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে একটা ঝগড়া হয়। আবার রেস্টুরেন্টে শানের এক কথার কারণে তাদের মধ্যে আবার ঝগড়া হয়। রাইমার মধ্যে এক ভালোলাগা তৈরি হয়।

কিছুদিন পর রাইমা শানকে ফোন করে বলে, সে তাকে ভালোবাসে । শান রাইমার সঙ্গে দেখা করতে চায়। দেখা করতে গিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে যায়। একপর্যায়ে শান রাস্তার দিকে এগোতেই দুর্ঘটনা ঘটে। রাইমার মধ্যে অপরাধবোধ কাজ করে। তাই রাইমা ফোন করে শানের শারীরিক অবস্থা জানতে চায় আর জাবিরের কাছে শানের ল্যাপটপটা ফিরিয়ে দেয়।

এরপর একদিন রাইমা শানের বাসায় যায় গিয়ে দেখে শানের ঘরের চারপাশে শুধু তার ছবি। তখন সে শানের কাছে জানতে চায়, সে কীভাবে রাইমার ছবি আঁকে। তখন শান রাইমাকে বলে, শানের কলেজে পড়া অবস্থায় রিয়া নামের একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। শানের মা রিয়া সম্পর্কে সবকিছু জানত। কিন্তু রিয়ার ফ্যামিলির কেউ তাদের বিষয়ে কিছু জানত না। রিয়া তার জন্মদিনে শানকে তার পরিবারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে চায়। তখন যাওয়ার পথে তাদের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, রিয়া মারা যায় আর শান অন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে শান শুধু রিয়ার ছবি আঁকে। রাইমা শানকে ভালোবাসে ফেলে। শানের অন্ধজীবনের সঙ্গী হতে চায়। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনি।