‘কঠোর ভাষায়’ সমালোচনার জবাব দিলেন সাবিলা নূর

Looks like you've blocked notifications!
সাবিলা নূরের ছবি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এআইইউবি) থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। ইংরেজি সাহিত্যে কৃতিত্বের সঙ্গে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন; তিনি ৪ পয়েন্টের মধ্যে পেয়েছেন ৩ দশমিক ৯৭। গত রোববার ২১তম সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ‘ড. আনোয়ারুল আবেদিন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত করেছে।

এমন রেজাল্টের পর অনেক নেটিজেন প্রশ্ন তুলেছেন, অভিনয় করে কীভাবে এত পয়েন্ট পাওয়া সম্ভব? যাকে কি না নর্থ সাউথ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। এবার ‘কঠোর ভাষায়’ ওইসব প্রশ্নের সরাসরি জবাব দিয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী।

আজ মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরের দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের নিজের ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্ট সাবিলা লিখেন, ‘যারা বলছেন আমাকে এনএসইউ (নর্থ সাউথ) এবং ব্র্যাক থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল, তাদের জন্য এই পোস্ট। আমার এআইইউবি এবং ব্র্যাক দুটোর গ্রেডশিট আমি পোস্টে দিয়েছি, আশা করি এই প্রশ্নের জবাব আপনারা পেয়ে যাবেন।’

সাবিলা আরও লেখেন, ‘হ্যাঁ, এনএসইউতে আমার গ্রেড ভাল ছিল না, কিন্তু আমাকে বের করে দেওয়া হয়েছিল সেটা ভুল। তখন আমি মাত্রই নাটকে কাজ শুরু করি এবং আমি পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে গিয়েছিলাম। এ ছাড়া আমি এমন একটা ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হয়েছিলাম যেখানে আমার পড়ার আগ্রহ ছিল না, পরিবারের চাপে ভর্তি হওয়া। আমি কিছু সময়ের জন্য আমেরিকা চলে যাই এবং ফিরে এসে আমার মেজর ও ইউনিভার্সিটি দুটোই পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নেই।

‘ব্র্যাকে আমি তিন সেমিস্টার ছিলাম এবং বহুল আকাঙ্ক্ষিত ভিসি তালিকাভুক্ত ছাত্রীও ছিলাম। কিন্তু, যখন আমাকে বলা হলো তুরস্ক যেতেই হবে, আমি পুরোপুরি ভেঙে পড়ি। শুধুমাত্র মিডিয়ার কাজের জন্য নয়, আমি তখন ডিপ্রেশনে ভুগছিলাম এবং আমি জানতাম পরিবার ছাড়া তিন মাস থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না। তারপরই আমি এআইইউবিতে ক্রেডিট ট্রান্সফার করি এবং আমার জন্য সেটাই সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল।’

ফেসবুক পোস্টে এই অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, ‘এই পথ চলায় আমার যত বাধা এসেছে, ততই আমার জিদ চেপে গিয়েছিল পড়াশোনার। সকালের ক্লাসগুলো করে আমি নাটকের কাজে যেতাম, অনেক রাতে বাড়ি ফিরে পড়াশোনা করতাম, দুই-এক ঘণ্টা ঘুমিয়ে আবার ক্লাস করতাম। আমার সিজিপিএ আমার হার না মানা পরিশ্রম-সংকল্প আর আমার পরিবার ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণার ফসল।’

‘যেটা ছিল আমার পরম আরাধ্য কিছুর উদযাপন, আপনাদের ট্রোল-মিম-এবং ভয়ানক মিথ্যে কিছু অভিযোগে সেটা হয়ে যাচ্ছে দুঃস্বপ্নের মতো। ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের পেছনে যে একজন সত্যিকারের রক্তমাংসের মানুষ আছে সেটা ভুলে যাননি তো? এআইইউবির অথরিটিকে পর্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে! কি ভয়াবহ!’

নেটিজেনদের উদ্দেশে দেওয়া পোস্টে সাবিলা লেখেন, ‘মানুষ কি নতুন করে শুরু করে সফল হতে পারে না? বদলাতে পারে না? নিজের লক্ষ্য অর্জনে নিজের সবটা দিয়ে উঠেপড়ে লেগে পড়তে পারে না? আমরা কি এতটাই অসহনশীল হয়ে পড়েছি যে কোনোরকম কারণ ছাড়াই একজনের ভীষণ পরিশ্রমের একটা ভালো খবরকে দুঃস্বপ্ন বানিয়ে দিতে একটুও দ্বিধা করছি না?’

ইতোমধ্যে সাবিলার পোস্টে রিয়্যাক্ট পড়েছে ২৩ হাজারেরও বেশি। কমেন্ট পড়েছে প্রায় দেড় হাজারের মতো। শেয়ারও হয়েছে প্রায় দেড় হাজার। কমেন্টে সাবিলাকে সাহস যোগাচ্ছেন তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা।