জামিন আবেদন নাকচ, শিল্পার স্বামী রাজকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ

Looks like you've blocked notifications!
বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্র। ছবি : সংগৃহীত

পর্ন-কাণ্ডে গ্রেপ্তার বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির স্বামী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রাজ কুন্দ্রের জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়ে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন বোম্বে হাই কোর্ট। তাঁকে ১৪ দিন কারাগারে থাকতে হবে।

আজ মঙ্গলবার অভিযুক্তের আর্জি শুনে এ রায় দেন উচ্চ আদালত। বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের বরাতে এ খবর জানিয়েছে বিনোদনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পিঙ্কভিলা। তাঁর সহযোগী রায়ান থর্পকেও একই আদেশ দিয়েছেন আদালত।

গত ১৯ জুলাই রাতে মুম্বাই পুলিশ শিল্পার স্বামী রাজ কুন্দ্রকে গ্রেপ্তার করে। পরে আদালত তাঁকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। গত শুক্রবার সেই পুলিশ হেফাজতে থাকার মেয়াদ ২৭ জুলাই পর্যন্ত বাড়ান আদালত।

পিঙ্কভিলার খবর, মুম্বাই পুলিশের অপরাধ দমন বিভাগ কানপুরে থাকা রাজ কুন্দ্রের দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে। কানপুরে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ায় রাজের দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে পুলিশ।

এসবিআই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই দুই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কয়েক কোটি রুপি ছিল শিল্পার স্বামী রাজ কুন্দ্রের। রাজের দুই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের পর আরও একটি বিষয় আলোচনায় এসেছে। খবরে প্রকাশ, রাজ কুন্দ্রের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান যিনি চালান, সেই অরবিন্দ শ্রীবাস্তব নাকি তাঁর স্ত্রী হর্ষিতার অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করেছেন। অরবিন্দের বাবা এন পি শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, গেল দু বছর ধরে অরবিন্দ ঘরে যান না। কিন্তু ঘরের খরচ নিয়মিত পাঠান।

এর আগে এক বিবৃতিতে মুম্বাই পুলিশ জানায়, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাইবার অপরাধ দমন শাখায় পর্ন তৈরি এবং কিছু অ্যাপের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেওয়া নিয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার ভিত্তিতেই রাজ কুন্দ্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রাজ কুন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পর্ন (প্রাপ্তবয়স্ক ছবি) বানানোর পাশাপাশি তিনি তা বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে মুঠোফোনে ছড়িয়ে দিতেন। পরে মুম্বাই পুলিশের অপরাধ দমন বিভাগ মুম্বাইয়ের জুহুতে রাজ ও শিল্পার বাড়িতে অভিযান চালায়।

সে যা-ই হোক, পুলিশের ভাষ্যে শিল্পা শেঠি স্বামীর পর্ন-কাণ্ডে জড়িত নন। আর শিল্পা তাঁর স্বামীকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, শিল্পার মুঠোফোন পরীক্ষা করে দেখতে পারে পুলিশ।