দুই রোহিঙ্গা শিশুর গল্প দক্ষিণ এশীয় চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা

Looks like you've blocked notifications!
‘দ্যা আইসক্রিম সেলারস’ বেস্ট ফিচার ডকুমেন্টারির পুরষ্কার জিতেছে। ছবি : সংগৃহীত

কানাডার মন্ট্রিলে অনুষ্ঠিত ১১ তম দক্ষিণ এশীয় চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশি নির্মাতা সোহেল রহমানের ‘দ্যা আইসক্রিম সেলারস’ বেস্ট ফিচার ডকুমেন্টারির পুরষ্কার জিতেছে। সম্প্রটি উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল জুরি বোর্ড এ পুরষ্কার ঘোষণা করেন।

ফিচার ডকুমেন্টারি ফিল্মটির ভূয়সী প্রশংসা করে জুরি বোর্ড উল্লেখ করেন, এই ছবিটিতে সংকল্পবদ্ধ দুই রোহিঙ্গা শিশুর নিত্যদিনের জীবনের লড়াই শ্রদ্ধার সঙ্গে ফুটে উঠেছে। পরিচালক সোহেল অত্যন্ত সৎ, বিনয় ও স্নেহপূর্ণভাবে গণহত্যায় ক্ষত বিক্ষত রোহিঙ্গা শরণার্থী সম্প্রদায়ের একটি গভীর পর্যবেক্ষণ উপস্থাপন করেছেন।

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে এ পুরষ্কার উৎসর্গ করে সোহেল বলেন, ‘বিশ্বে এখন শান্তি ও ভালোবাসা প্রয়োজন, আমরা আর কারও রক্ত দেখতে চাই না। আর কোন গণহত্যা দেখতে চাই না। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশে রিলোকেশনের পরিবর্তে মায়ানমারে রিপাট্রিয়েশনের ব্যবস্থা করতে হবে।’

গল্পে দেখানো হয়েছে, রোহিঙ্গা শিশু আয়াস ও আসিয়া ভাইবোন। গণহত্যার পর মায়ের সঙ্গে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে কুতুপালং ক্যাম্পে। তাঁদের বাবা আটকে আছে মায়ানমারের জেলে। বাবাকে মুক্ত করতে ঘুষ হিসেবে বড় অংকের টাকা দরকার। সে টাকা যোগাড়ে ভাইবোন ক্যাম্পে শুরু করে আইসক্রিম বিক্রি। সারা দিন ক্যাম্পের এ দুয়ার থেকে ও দুয়ারে আইসক্রিম বিক্রি করে তারা। গণহত্যার ভারে সবাই যখন হাহাকার করছে, তখন এই দুই শিশু আশা ও স্বপ্ন নিয়ে শুরু করে জীবনের কঠিন যুদ্ধ। তাঁদের স্বপ্ন বাবাকে একদিন জেল থেকে ছাড়িয়ে আনবে। এমন এক মানবিক বাস্তব গল্প দেখানো হয়েছে ছবিতে।