বিষণ্ণ দিনে জয়ার ঘরে ‘কৃষ্ণ রমণী’র আনন্দ

Looks like you've blocked notifications!
জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ছবি : সংগৃহীত

পদ্মার ওপারের ‘কৃষ্ণ রমণী’ এসেছে বাংলাদেশে। এর আগে আরও একবার বাংলাদেশে এসেছে সে। তবে এবার অবশ্য এসেছে নিয়ম ভেঙে। যাঁর হাত ধরে এসেছে, তিনি জয়া আহসান। যে নামের পরে এখন আর বিশেষ কোনো বিশেষণের প্রয়োজন পড়ে না। তিনি স্বনামে স্বরূপে সর্বজয়া।

‘কৃষ্ণ রমণী’ বলতে জয়া ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বুঝিয়েছেন। যেটা আবার ‘ব্ল্যাক লেডি’ নামে বেশি পরিচিত। ৩১ মার্চ রাতে ‘রবিবার’ ও ‘বিজয়া’ সিনেমার বদৌলতে সমালোচক বিভাগে এবারের আয়োজনের সেরা অভিনেত্রীর স্বীকৃতি পেয়েছেন জয়া। যদিও তিনি একই পুরস্কার ঘরে তুলেছিলেন ২০১৮ সালে ‌‘বিসর্জন’ সিনেমার জন্য।

তবে এবার দুই সিনেমার জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার ঘরে তুলে প্রতিক্রিয়া জানাতে কিছুটা সময় নিলেন। অন্তর্জালে শনিবার সকালে জানালেন, ফিল্মফেয়ারের কৃষ্ণ রমণী আবারও বাংলাদেশে এরো। অতিমারির বিষণ্ণ দিনে এই তো আনন্দ। যেকোনো পুরস্কারই এমন একটা মাইলফলক যা শিল্পীকে বলে, ‘তুমি এটা পার হয়ে এগিয়ে যাও।’

জয়া আরও লিখেছেন, ফিল্মফেয়ারের নিয়ম ভেঙে পুরস্কারটা এবার এসেছে দুটো ছবির জন্য। একটা ‘বিজয়া’, আরেকটা ‘রবিবার’। পুরস্কারটা এলো, যখন মার্চ মাসে মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছরের উদ্‌যাপন চলছে। মুক্তিযুদ্ধে রক্তের বন্ধনে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর যে সূচনা হয়েছিল, এ বছরটি তারও সুবর্ণজয়ন্তী। আর ‘বিজয়া’ ছবির ভেতরে বয়ে চলেছে বাংলাদেশ আর ভারতের মানুষের ভালোবাসারই ঝরনাধারা। আমার করা এ ছবির পদ্মা চরিত্রটি বাংলাদেশের প্রাণের গভীর থেকে উঠে আসা।

সেই লেখা জয়া শেষ করেছেন এভাবে, আর ‘রবিবার’ একটি ওপেন-এন্ডেড ছবি। আমার করা সায়নী চরিত্রটি না-আলো না-অন্ধকার। ঘটনা পর্দায় ঘটে না, ঘটে ওর মনে। তাই পুরো অভিনয়টাই ছিল সেরিব্রাল। দারুণ একটা নতুন অভিজ্ঞতা হলো আমার। সায়নী কত কী যে শেখাল। ভালোবাসা কৌশিকদা আর অতনুদার জন্য। আর আনন্দ তাঁদের জন্য, যাঁরা আমাকে এত দিন ধরে নিঃশর্ত ভালোবাসা আর অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে এসেছেন। সবাইকে নিয়ে আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ।

বাংলাদেশ ও কলকাতা মিলিয়ে বেশ কিছু সিনেমা নিয়ে বর্তমানে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন জয়া আহসান।