৫০ বছর পূর্তিতে এফবিসিসিআই-এর থিম সং

Looks like you've blocked notifications!
এফবিসিসিআই-এর থিম সং। ছবি : এফবিসিসিআই

প্রতিষ্ঠান ৫০ বছর পূর্ণ হলো বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সূতিকাগার ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)-এর। প্রতিষ্ঠার পর থেকে যে ছাতার ছায়ায় ক্রমশ বিকাশ হয়েছে দেশের বাণিজ্য, শিল্প ও কলকারখানার। যে অর্জনে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে।

প্রতিষ্ঠানটির ৫০ বছর পূর্তি এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধির গল্প শোনাতে তৈরি হলো একটি থিম সং। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী গীতিকবি জুলফিকার রাসেলের কথায় গানটির সুর-সংগীতায়োজন করেছেন মীর মাসুম। এতে সুরকারের পাশাপাশি কণ্ঠ দিয়েছেন পান্থ কানাই, তাসফী, অবন্তী সিঁথি ও নাসরিন নাশা।  

ভিডিওচিত্রে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের চিত্র ফুটে উঠেছে তানভীর খানের নির্মাণে। যা অন্তর্জালের বিভিন্ন মাধ্যমে উন্মুক্ত হয়েছে ১৪ মার্চ।

বিশেষ এই গানটি প্রসঙ্গে গীতিকবি জুলফিকার রাসেল বলেন, ‌‘এফবিসিসিআই-এর ৫০ বছর পূর্তিতে থিম সং হলো। এবং সেটার গীতিকবিতা লেখার ভার আমি পেলাম, এটা সত্যিই অনেক আনন্দের ও সম্মানের। কারণ এই সংগঠনটিকে বলা হয় বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। ফলে প্রতিষ্ঠানটির জন্য গান রচনা করা গুরুদায়িত্বের মতো। আমি আমার শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করেছি। সুরকার মীর মাসুম, ভিডিও নির্মাতা তানভীর খান এবং যারা কণ্ঠ দিলেন- প্রত্যেকেই নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে কাজটি করেছেন। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এফবিসিসিআই-সহ গানটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি।’  

এদিকে সুরকার মীর মাসুমের সঙ্গে আলাপে জানা গেলো, গানটি তৈরির পেছনের গল্প। তার মতে, এটা অনেকটা রিয়েলিটি শোয়ের মতো করে হয়েছে। যা বেশ কঠিন পরীক্ষা ছিলো তার কাছে। মাসুম বলেন, ‘এই গানটির জন্য আরও অনেকেই ডেমো জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে আমাদেরটাই সিলেক্ট হয়। এখানেই শেষ নয়। রাসেল ভাইর এই লিরিকটির ওপর আমাকে তিনটা সুর করতে হয়। মানে একই লিরিকের তিনটা সুর। অবশেষে চূড়ান্ত হয় এখন যেটা প্রকাশ পেলো। তো সবমিলিয়ে এটা আমার জন্য এক ধরণের রিয়েলিটি শোয়ের মতো হলো। এবং আমি সেটা জয় করতে পেরেছি।’

এই গানটির জন্য মীর মাসুম ধন্যবাদ প্রকাশ করেন এফবিসিসিআই-এর প্রতি। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন গীতিকবি জুলফিকার রাসেল ও নির্মাতা তানভীর খানের প্রতি। তার ভাষায়, ‘আসলে এমন একটি শীর্ষ সংগঠনের জন্য থিম সং তৈরি করার সুযোগ পাওয়া ভাগ্যের বিষয়। আর সেই গানটি যদি লেখেন জুলফিকার রাসেল ভাইয়ের মতো মানুষ, তবে তো ডাবল সৌভাগ্যবান আমি। কারণ, তার কথায় এআর রহমানও গান করেছেন। রাসেল ভাইয়ের সঙ্গে গান করার স্বপ্ন বহু দিনের। এবার সেটি পূর্ণ হলো। আশা করছি আমরা সামনে আরও কাজ করবো। আর গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন তানভীর খান। যিনি আমাকে বরাবরই তার বটবৃক্ষের ছায়ায় রাখেন। আমি তার প্রতি বরাবরই কৃতজ্ঞ। শিল্পীরা যারা গানটি গেয়েছেন, তারা প্রত্যেকেই অনেক মেধাবী, আমি ছাড়া। এই গানেরও শিল্পীরা তারই প্রমাণ রেখেছেন।’