কী বই দীপিকার হাতে?
বলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীরা বৈচিত্র্যে বিশ্বাস করেন। তাই চরিত্রের প্রয়োজনে তাঁরা নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন আনেন। আর কোনো ঐতিহাসিক কাহিনীনির্ভর চলচ্চিত্র হলে তো কথাই নেই। পোশাক-পরিচ্ছদ থেকে কথা বলার ধরন সবকিছুইতেই পরিবর্তন এনে নিজেকে প্রস্তুত করেন। যেমনটা করেছেন দীপিকা পাডুকোন। সম্প্রতি মুম্বাই বিমানবন্দরে তাঁর হাতে দেখা গেছে রিমা হুজার লেখা ‘অ্যা হিস্টোরি অব রাজস্থান’ বইটি। নিশ্চয় দীপিকা-ভক্তদের বুঝতে আর বাকি নেই, কেন তিনি এই বই নিয়ে ঘুরছেন! ঠিকই ধরেছেন, দীপিকা সঞ্জয় লীলা বানসালির ছবি ‘পদ্মাবতী’র নাম চরিত্রে অভিনয় করছেন, আর সে কারণেই চলছে বই পড়া কর্মসূচি।
ডেকান ক্রনিকেলের খবরে জানা যায়, একটি ব্র্যান্ডের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে মুম্বাই থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন রামলীলা খ্যাত এই তারকা। বিমানে যেহেতু কিছুটা সময় পাওয়া যায়, সে সময় বই পড়লে সময়টাও ভালো কাটে। দীপিকার ক্ষেত্রে অবশ্য বিষয়টি শুধু সময় কাটানোতে সীমাবদ্ধ নয়, তিনি ছবির জন্য প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পড়ছিলেন বইটি। পদ্মাবতী যেহেতু রাজস্থানের নারী, তাই রাজস্থানের ইতিহাস না জানলে কী চলে?
৩১ বছর বয়সী দীপিকা সব সময়ই চরিত্রের ভেতর প্রবেশ করে অভিনয় করতে চান। পদ্মাবতীর ক্ষেত্রেও যে তার ব্যতিক্রম হবে না, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। তাই মেওয়ারের রানীর চরিত্র ও সেই সময়টাকে ফুটিয়ে তুলতে এমন কোনো জিনিস নেই, যা তিনি করছেন না। একটি ঐতিহাসিক চলচ্চিত্রের অংশ হিসেবে সে অঞ্চলের খুঁটিনাটি বিস্তারিতভাবে জানার জন্য এই অভিনেত্রী ইতিহাসের পাতা ঘেঁটে দেখছেন।
ছবিটির অন্যান্য চরিত্রে রয়েছে রণবীর সিং ও শহীদ কাপুর। চলচ্চিত্রটিতে রানী মেওয়ারের শাসক রানা রাওয়াল রতন সিংয়ের স্ত্রী ছিলেন। এটি বানসালির পরিচালনায় দীপিকার তৃতীয় চলচ্চিত্র। প্রথম দুটি চলচ্চিত্রের নাম ছিল ‘বাজিরাও মাস্তানি’ এবং ‘গলিও কি রাসলীলা রামলীলা’। ‘পদ্মাবতী’ ছবিটির এ বছরের ১৭ নভেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।