আভাঙ্কা উৎসবে জালালের গল্পের জয়জয়কার
পর্তুগালের আভাঙ্কা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ ছবির পুরস্কার পেয়েছে তরুণ নির্মাতা আবু শাহেদ ইমনের প্রথম ছবি 'জালালের গল্প’। একই সঙ্গে ছবিটিতে দুর্দান্ত অভিনয়ের সুবাদে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন মোশাররফ করিম।
আভাঙ্কা উৎসবে দুটি বিভাগে পুরস্কারজয়ের খবর নিশ্চিত করে আজ মঙ্গলবার নির্মাতা ইমন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘উৎসবে দর্শক ও জুরি বোর্ডের সদস্যরা ছবিটির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।’
২০-২৬ জুলাই পর্তুগালে অনুষ্ঠিত হয় ১৯তম আভাঙ্কা চলচ্চিত্র উৎসব। এতে ১২১টি দেশের দুই হাজার ২০০ ছবি নিবন্ধিত হয়। সেখান থেকে ১১৮টি ছবি বিভিন্ন বিভাগে প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হয়। এর মধ্য থেকে বাংলাদেশ, চেকপ্রজাতন্ত্র, যুক্তরাষ্ট্র ও স্পেনের চারটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র জুরি বোর্ডের সদস্যদের চূড়ান্ত ফলাফলে পুরস্কার লাভ করে।
চেকপ্রজাতন্ত্রের ‘আফটার ওয়ার, বিফোর ওয়ার’ যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিরিভ’, স্পেনের 'দ্য ডিসট্যান্স’ ছবিগুলো জুরি বোর্ডের সদস্যদের দ্বারা ‘স্পেশাল মেনশন’ সম্মাননায় ভূষিত হয়। চেকপ্রজাতন্ত্রের ছবি ‘আফটার ওয়ার, বিফোর ওয়ার’ ছবিতে নজরকাড়া অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন ইরিনা দেমিখ।
জালালের গল্প ছবিটি বাংলাদেশ সেন্সর বোর্ড থেকে সম্প্রতি সেন্সর সনদ লাভ করেছে। খুব শিগগিরই এটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। মোশাররফ করিম ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন মৌসুমি হামিদ, তৌকির আহমেদ, শর্মীমালা, নূরে আলম নয়ন, মিতালি দাশ, ফজলুল হক, আহমেদ গিয়াস প্রমুখ। ছবিটির সংগীত পরিচালনা করেছে চিরকুট।
উল্লেখ্য, ‘জালালের গল্প’ ছবিটি ২০১৪ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত ১৯তম বুসান চলচ্চিত্র উৎসবে এশিয়ান সিনেমা ফান্ড পায়। উৎসবটির মূল প্রতিযোগিতা বিভাগ ‘নিউ কারেন্টস’ বিভাগে প্রথম বাংলাদেশি ছবি হিসেবে বিশ্ব প্রিমিয়ার করেছিল এটি। একই বছরের নভেম্বরে ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত ৪৫তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে (আইএফএফআই) প্রথমবারের মতো আয়োজিত হওয়া ‘এ উইন্ডো অন সাউথ এশিয়ান সিনেমা’ বিভাগে একমাত্র বাংলাদেশি চলচ্চিত্র হিসেবে প্রদর্শনের জন্য মনোনীত হয়েছিল ছবিটি। গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতের রাজস্থানে অনুষ্ঠিত সপ্তম জয়পুর চলচ্চিত্র উৎসবে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে অংশ নিয়েছিল ছবিটি। সেখানে সেরা নবাগত নির্মাতার পুরস্কার পান নির্মাতা ইমন। এ ছাড়া গত এপ্রিলে ইরানের রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত ৩৩তম ফজর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও ছবিটি প্রদর্শিত ও প্রশংসিত হয়।