ভারতের ‘জাহানারা-জাহানারা’ শিল্পকলায়
দারিদ্র্যের অপমানে আর জাতের কারণে আত্মহত্যা করে জাহানারার বাবা। আর সেই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য জাহানারা জুঁই ব্যানার্জি হয়ে প্রবেশ বনেদি ব্রাহ্মণ পরিবারে। দিনের বেলা ক্যানিং লাইনের ইসলামপুর বস্তির নোংরা জীবনে যাপনে এবং নোংরা ভাষায় অভ্যস্ত জুঁই আর শ্যামারা স্থান-কাল বদলে, ঘরে গিয়ে জাহানারা, শামিমা হয়। শিক্ষিত ভক্ত তথাকথিত প্রগতিবাদী পরিবারের পরতে পরতে জড়িত থাকা হীনমন্যতা আর সংসারের অন্ধকারের উল্টোদিকে জাহানারারা লড়াই চালায়, নিজেদের রক্তমাংসের সঙ্গে যত্নে একান্তে বড় হয়ে ওঠা সন্তানকে পাচারকারী আর সমাজবিরোধীদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য লড়াই। এমন কাহিনী নিয়েই ‘জাহানারা-জাহানারা’ নাটক মঞ্চায়ন করেছে ভারতের নাটকের দল হ য ব র ল।
শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ভারত ও বাংলাদেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় এই নাটক।
নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন তপন বিশ্বাস, বিন্দিয়া ঘোষ, পার্থ চৌধুরী, স্বপন সিংহ রায়, ঋতু চক্রবর্তী, সঞ্জয় বসু, মৌমিতা চক্রবর্তী, সুভাষ মৈত্র, পতিত পাবন মণ্ডল, শ্যামল দে প্রমুখ।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে দুই বাংলার নাটকের পাঠাভিনয়ে অংশ নেন ভারতের চন্দন সেন ও বিন্দিয়া ঘোষ এবং বাংলাদেশের অধ্যাপক আবদুস সেলিম ও তপন হাফিজ।
এর আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ভারতের নাট্যকার, শিল্পী ও নির্দেশক চন্দন সেন।