সত্যিকারের সুখী জুলিয়া রবার্টস
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/09/21/photo-1442843363.jpg)
সুখের পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে সবারই নাজেহাল অবস্থা। হাজার পরিশ্রম আর সাফল্যের পরও সুখ যেন জীবনে ধরাই দিতে চায় না। সেলিব্রেটিদের জীবনে তো সুখ আরো দুষ্প্রাপ্য। অগুনতি কাজ, ব্যক্তিগত জীবনে সচরাচর গেঁড়ে বসা চাপ, সম্পর্কের অবিরত ভাঙা-গড়া, অনবরত গসিপ কিংবা আলোচনা; সুখী থাকার ফুরসত মেলাও ভার। তবে ‘প্রিটি ওম্যান’ জুলিয়া রবার্টস কিন্তু তেমন মনে করেন না। ইউএস ম্যাগাজিনকে জানিয়েছেন, তিনি একজন সত্যিকারের সুখী মানুষ।
জীবনে এই সুখ ও সাফল্যের কৃতিত্বে জুলিয়া রবার্টস বড় ক্রেডিট দিয়েছেন স্বামী ড্যানি মোডারকে। ড্যানি-জুলিয়া দম্পতির তিন সন্তান। এর মধ্যে জমজ দুই ভাই ফিন ও হ্যাজেল, আর ৮ বছরের হেনরি।
জুলিয়া বলেন, ‘আমি আসলেই খুব, খুবই সুখী একজন মানুষ। জীবনের সাথে ধীরে ধীরে এগিয়ে চললে আপনি একটা সময় বুঝতে পারবেন এটা কত মূল্যবান। যখন আপনার জীবন উপভোগ করার মতো ক্ষমতা সহজাত, প্রাকৃতিকভাবে থাকবে-সে বিষয়টাও দারুণ হবে।’ স্বামীর কথা যোগ করতে ভোলেননি, ‘ড্যানি আমার এতটা কাছাকাছি না থাকলে আমি যে সাফল্যগুলো পেয়েছি, তা আদৌ পেতাম কি না এ নিয়ে ঘোর সন্দেহ আছে। পুরো পৃথিবীতে আপনার সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়টি যখন আপনার সাথে একই ঘরে বসবাস করে, ব্যাপারটা আসলেই সৌভাগ্যের।’
জুলিয়া রবার্টস একজন বিখ্যাত মার্কিন অভিনেত্রী ও প্রযোজক। ১৯৬৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ায় তাঁর জন্ম। এখন পর্যন্ত ৫৩টি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘প্রিটি ওম্যান’, ‘নটিং হিল’, ‘এরিন ব্রকোভিচ’, ‘স্টেপমম’, ‘মোনালিসা স্মাইল’-এর মতো অজস্র জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করেছেন। ২০০১ সালে তিনি ‘এরিন ব্রকোভিচ’ ছবির সুবাদে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার পুরস্কার পান।