আজ আসছেন বন্ড, জেমস বন্ড!
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/10/26/photo-1445843579.jpg)
অপেক্ষার পালা আপাতত শেষ। পৌরুষ, প্রেম আর বেপরোয়া দুঃসাহসী ট্যাগলাইনে রুপালি জগতের সবচেয়ে আরাধ্য পুরুষটি আজ আবির্ভূত হচ্ছেন গ্রেট ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ডের বড় পর্দায়। শত্রুকে অবলীলায় হত্যার পর ধোপদুরস্ত কোটের বাটন ঠিকমতো লাগিয়ে তিনি লাস্যময়ী অপরিচিতাকে শোনান আলো-আঁধারির গল্প, মাতেন প্রেমের খেলায়। নাম তাঁর জেমস বন্ড, ব্রিটিশ সিক্রেট এজেন্ট, কোডনেম ‘জিরো জিরো সেভেন’—এই যার পরিচয়। গার্ডিয়ানের খবরে জানা গেল, লন্ডনের রয়্যাল অ্যালবার্টা হলে প্রিমিয়ারের সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডের বড় পর্দায় আজ মুক্তি পেতে যাচ্ছে এই সিরিজের নতুন ছবি ‘স্পেক্টর’।
তবে সারা দুনিয়ার দর্শক চাইলেও এখনই দেখা পাচ্ছেন না বন্ডের। নভেম্বরের ৬ তারিখে ইউএস রিলিজ, অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রে রিলিজের পর ছবিটি মুক্তি পাবে বিশ্বজুড়ে। জেমস বন্ড ফ্র্যাঞ্চাইজিতে এটি হতে যাচ্ছে ড্যানিয়েল ক্রেগের চতুর্থ ছবি। এই ছবিতে অন্যান্য চরিত্রে দেখা যাবে ক্রিস্তোফ ওয়াল্টজ, লিয়া সেদ্যু, মনিকা বেলুচ্চি, রালফ ফিনেসের মতো তারকাদের। মনিকা বেলুচ্চির মোহনীয় অবয়বে এই ছবিতে দর্শক প্রথমবারের মতো ‘বন্ড গার্ল’-এর বদলে দেখতে পাবেন ‘বন্ড ওম্যান’। আবেদনের উত্তাপের সঙ্গে অ্যাকশন আর স্টান্টের ছড়াছড়ি থাকতে যাচ্ছে এই ছবিতে। এ ছবিতে ‘মাত্র’ সাড়ে তিন কোটি মার্কিন ডলার মূল্যমানের গাড়ি ধ্বংস করেছেন খোদ বন্ড, অবশ্যই শুটিংয়ের কাজে!
এর আগে কথা উঠেছিল, ড্যানিয়েল ক্রেগের সর্বশেষ বন্ড ছবি হতে যাচ্ছে ‘স্পেক্টর’। বড় পর্দায় সিক্রেট এজেন্টের চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ার হালকা একটা আভাস দিয়েছিলেন বটে ক্রেগ! এর পর নতুন বন্ড খোঁজার হিড়িকও পড়ে গিয়েছিল গণমাধ্যমে। তবে এই জল্পনা-কল্পনায় ক্রেগ নিজেই পানি ঢেলে দিয়েছেন কয়েক দিন আগে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিররকে জানিয়েছেন, এখানেই শেষ নয়, আরো একটি ছবির জন্য জেমস বন্ড ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তি এখনো বলবৎ তাঁর। তবে ব্যাপারটা কঠিন, বন্ড হিসেবে হাজির হওয়া। ‘যতই সময় যাচ্ছে, ততই ব্যাপারটা কঠিন হয়ে আসছে। তবে জীবনটা তো এমনই। আমি যদ্দূর পারি, এর মুখোমুখি হওয়ার চেষ্টা করব। আরো একটা ছবির জন্য আমার চুক্তি করা রয়েছে এখনো। তবে আমি আগেভাগেই কোনো কিছু বলতে পারব না,’ এমনই কথা তাঁর।
এই ছবির গল্প ইয়ান ফ্লেমিংয়ের মৌলিক বন্ড কাহিনীর একেবারেই বাইরে। ‘স্পেক্টর’ মূলত দুর্বৃত্তদের একটি সংগঠন। ইতালির রাজধানী রোমে একটি মিশনে থাকার সময় এর সন্ধান পায় বন্ড। এদের সম্পর্কে জানতে ধেয়ে যায় সে মেক্সিকো সিটি পর্যন্ত। এই অনুসন্ধানে বাধা আসে তার নিজেরই এজেন্সি এম১৬ থেকে। তাতে তো আর বন্ড ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। একাই ‘স্পেক্টর’-এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বন্ড।
জেমস বন্ড ফ্র্যাঞ্চাইজিতে ড্যানিয়েল ক্রেগ হচ্ছেন ষষ্ঠ বন্ড। প্রথম বন্ড ছিলেন শন কনোরি। ১৯৬২ সালের ‘ড. নো’ ছবির মাধ্যমে তাঁকে দিয়েই শুরু হয়েছিল এই সিরিজ। তার পরে একে একে এসেছেন রজার মুর, টিমোথি ডালটন, জর্জ ল্যাজেনবি, পিয়ার্স ব্রুসনান। এরপর ড্যানিয়েল ক্রেগ। ক্রেগের উত্তরসূরি কে হচ্ছেন, তা এখনো নিশ্চিত নয়।