চল্লিশের কোটায় সুস্মিতা সেন
জীবনের ৩৯টি বছর পার করে ৪০-এর কোটায় পা রাখলেন বলিউড সুন্দরী সুস্মিতা সেন। গতকাল ১৯ নভেম্বর ছিল তাঁর ৩৯তম জন্মদিন। ১৯৯৪ সালে এই সুন্দরীর হাত ধরে ভারত প্রথমবার ‘মিস ইউনিভার্স’ খেতাব ঘরে তুলেছিল। কিন্তু মজার বিষয় হলো, যে গাউন পরে ‘মিস ইউনিভার্স’ প্যাজেন্টের শেষ রাউন্ডে সুস্মিতা খেতাব জিতেছিলেন, সেই গাউনটি নাকি কোনো ডিজাইনারের তৈরি ছিল না।
ওই গাউনটির পরিকল্পনা করেছিলেন সুস্মিতার মা এবং বানিয়েছিলেন একজন সাধারণ দর্জি। ‘মিস ইউনিভার্স’ খেতাবের পর ‘দাস্তাক’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে যাত্রা শুরু হয় সুস্মিতার। এর পর অভিনয় করেন ‘বিবি নাম্বার ওয়ান’ (১৯৯৯)। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জেতেন সুস্মিতা। ২০০২ সালে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে ‘আখে’ ছবিতে অভিনয় করেও প্রশংসিত হন সুস্মিতা।
তবে ফারহা খান পরিচালিত ২০০৪ সালের ছবি ‘ম্যায় হু না’ তাকে এনে দেয় খ্যাতি এবং জনপ্রিয়তা। এই ছবিতে শাহরুখ খানের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। ছবিতে অনস্ক্রিন শাড়ি পরে চমক দেন সুস্মিতা। সর্বশেষ সৃজিত মুখার্জির পরিচালনায় বাংলায় ‘নির্বাক’ ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গেছে তাঁকে।
ছোটবেলায় সুস্মিতা পরিচিত ছিলেন ডাকনামে। টিটু নামে ডাকত তাঁকে সবাই। ছোট্ট টিটুর স্কুল-কলেজে নাকি মেয়েদের থেকে ছেলেবন্ধুই বেশি ছিল, যে কারণে টিচাররা নাকি তাঁকে ‘টম বয়’ বলে ডাকতেন। ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত নাকি ইংরেজি বলতে পারতেন না সুস্মিতা সেন। কারণ, তিনি হিন্দি মিডিয়াম স্কুলে পড়াশোনা করেছেন।
পরে অবশ্য কয়েক বছরের মধ্যে ইংরেজিতে পারদর্শী হয়ে ওঠেন। মাত্র ২৫ বছর বয়সে কন্যাসন্তান দত্তক নেওয়ার কথা ভাবেন সুস্মিতা সেন। কিন্তু সে সময় তিনি সিঙ্গেল থাকায় আদালত তাঁকে প্রথমে বাচ্চা দত্তক নেওয়ার অনুমতি দেননি। তবে আদালতের রায়ে তিনি দমে যাননি। সন্তান দত্তক নেওয়ার অনুমতি পাওয়ার আগ পর্যন্ত নিয়মিত আবেদন করে গেছেন!
সুস্মিতার বাড়িতে পরিবারের অন্য সদস্যদের পাশাপাশি নাকি বেশ কয়েকটি পোষ্য রয়েছে! যার মধ্যে রয়েছে তিনখানা তাগড়াই সাইজের কুকুর এবং একটি পাইথন সাপ!
তবে অবসর সময়ে সুস্মিতা যাই করুন না কেন, বই পড়তে নাকি একদমই ভালোবাসেন না! একনাগাড়ে নাকি দুই মিনিটের বেশি কোনো বই পড়তে পারেন না তিনি। তবে সুস্মিতা নাকি কবিতা লিখতে ভীষণ ভালোবাসেন। আসলে কবিতা নাকি সুস্মিতার রক্তে রয়েছে। শোনা যায়, ওনার দাদু একজন কবি ছিলেন।