রণবীর-দীপিকার স্বপ্নের ট্রেনযাত্রা
দীপিকা ট্রেনে চড়েননি লম্বা সময়। সেই ইচ্ছে পূরণ হলো রণবীর-ইমতিয়াজের কল্যাণে। পুরো ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেছেন রণবীর কাপুর। মুম্বাই থেকে দিল্লি- এক বিশাল ট্রেন যাত্রা করেছেন তাঁরা। পুরো টিম নিয়ে ছিল এই সারা রাতের ট্রেন সফর। ইচ্ছে মতো আনন্দ করেছেন সবাই। এই যাত্রার গল্প জানা গেল এনডিটিভির খবরে আর ফিল্মফেয়ারের ছবি থেকে।
প্লেনের টিকেট কাটা হয়ে গিয়েছিল আগেই। তবে দীপিকার ইচ্ছে পূরণের জন্যই হোক বা প্রচারণার অভিনব বুদ্ধি হিসেবে, উড়ালযাত্রার টিকেট বাতিল করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান রেলওয়েকেই বেছে নেওয়া হয়েছে যাত্রাপথের সওয়ার হিসেবে। পথে পথে, স্টেশনে-জংশনে ভক্তদের উচ্ছ্বাস আর ভিড়ভাট্টা ছিল দেখার মতো। শুক্রবার মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘তামাশা’। তার আগে প্রচারণার কাজটা দারুণ ভাবে সেরে ফেলেছে টিম ‘তামাশা’। এরই মধ্যে ইন্টারনেটে ‘তামাশা’র এই ট্রেনযাত্রার গল্প রীতিমতো ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
ইমতিয়াজ-দীপিকা-রণবীর কালেক্টরের কাছে টিকেট জমা দিয়েছেন, ছবিও তুলেছেন টিকেট হাতে। টিকেট কার কাছে, এ নিয়েও একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়েছিলেন তাঁরা, পরে রণবীরের জ্যাকেটের পকেটে পাওয়া গিয়েছিল টিকেট! ছবি তোলার কাজটাও মনের আনন্দে করেছেন রণবীর কাপুর।
সকালে দিল্লিতে পৌঁছুবার পর সেখানেও ভক্তদের ভিড় আর উল্লাস ছিল দেখার মতো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দিয়েও সেই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তবে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি।
একসময় প্রণয়ের সম্পর্ক থাকলেও এখন সম্পর্কটা বন্ধুত্ব আর পেশাদারত্বের। এমন সম্পর্ক নিয়ে জিজ্ঞাসা থাকতেই পারে। এনডিটিভিকে রণবীর কাপুর বলেন, ‘আমাদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, স্বীকৃতি এবং অনুপ্রেরণার ক্ষেত্র বিশাল। অভিনয়ের ক্ষেত্রে দীপিকা আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা জোগায়। আমার মাঝে ইমতিয়াজ এমন সব বিষয় খুঁজে পায় যেগুলো আমি নিজেও জানি না! ওরা সবাই এমন করে যে আমি সত্যিই অবাক হয়ে ভাবি, আমি কি আসলেই এগুলো পাওয়ার যোগ্য?’
এনডিটিভিকে দীপিকা বলেন, ‘আমাদের জীবন অনেক নিয়ন্ত্রিত, তবে আমি উচ্ছ্বাস আর পাগলামিও অনেক ভালোবাসি। অনেক সময়ই আমি কোনো পরিকল্পনায় আটকে থাকতে চাই না, এমনই হয় আমার পরিকল্পনা! আমি স্বতঃস্ফূর্ত থাকতে ভালোবাসি। মাঝেমধ্যে এমন অপ্রত্যাশিত উল্লাস আর উদযাপন জীবনের জন্য খুব দরকারি। ইমতিয়াজ আর রণবীর দারুণভাবে আমার জীবনকে প্রভাবিত করে। ওদের মতামত আমার কাছে খুবই মূল্যবান। আমি খুবই গুরুত্ব দিয়ে ওদের মতামত মানার চেষ্টা করি। আমাদের প্রতিদিন কথা হয় না, তবে আমরা একে অন্যের দেখভাল এভাবেই করি।’
দীপিকা-রণবীর জুটি শেষ একসাথে কাজ করেছে ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ ছবিতে। অন্যদিকে, ইমতিয়াজের সাথে শেষ ‘রকস্টার’ করেছেন রণবীর, আর দীপিকা করেছেন ‘লাভ আজ কাল’।