নগরে ‘তামাশা’ সফল
মারদাঙ্গা অ্যাকশন নেই, নেই তেমন কোনো অতি-নাটকীয় সংলাপ। ইমতিয়াজ আলীর ‘তামাশা’ ছবির ট্রেলারটিও ছিল বেশ জটিল, যাতে ছবির কাহিনী আন্দাজ করা খুব একটা সহজ হয় না। এই ছবির মূল আকর্ষণই ছিল রণবীর কাপুর ও দীপিকা পাড়ুকোনের অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি। পুরো ভারতে তেমন ব্যবসা না হলেও শহুরে দর্শকরা ভালোই মজেছেন রণবীর-দীপিকার ‘তামাশা’য়। বক্স অফিস ক্যাপসুলের খবর, দেশি-বিদেশি মার্কেট মিলিয়ে এরই মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি রুপির ব্যবসা করে ফেলেছে ছবিটি।
দ্বিতীয় সপ্তাহ শেষে দেখা যায়, ডোমেস্টিক মার্কেটে ছবির আয় ৬৫ কোটি রুপির মতো এবং ইন্টারন্যাশনাল বক্স অফিসে প্রায় ৩০ কোটি রুপি। প্রথম সপ্তাহে ডোমেস্টিক মার্কেটে ছবিটি বেশ ভালোই করেছিল, আয় ছিল ৫০ কোটি রুপিরও বেশি।
নন-হলিডে হিটের ক্ষেত্রে ইমতিয়াজ আলীর মোটামুটি সুনাম রয়েছে। দিওয়ালি বা ঈদের মতো বড় কোনো ছুটির সময় নয়, বরং একেবারে সাধারণ সময়েই তিনি ছবি রিলিজ দিয়েছেন। বক্স অফিস একেবারে কাঁপিয়ে না দিলেও ছবিগুলো মোটামুটি ব্যবসা করেছে। ‘জাব উই মেট’, ‘রকস্টার’, ‘লাভ আজ কাল’- সবগুলো ছবিই কিন্তু সাধারণ সময়ে মুক্তি দেওয়া!
কর্সিকায় যা ঘটবে, কর্সিকাতেই রয়ে যাবে। এমনই শর্ত জুড়ে ফরাসি দ্বীপ কর্সিকায় দেখা হলো ছুটি কাটাতে আসা দুই তরুণ-তরুণীর। এই সময়ে তারা প্রতিজ্ঞা করল, নিজেদের ব্যাপারে একে অন্যকে মিথ্যে ছাড়া সত্যি কোনো কথাই বলবে না! এই মিথ্যে থেকে প্রেম, তারপরে ছুটি শেষে নেমে আসা বিচ্ছেদ- গল্পর মোড় ঘুরে এমনই হলো। কিন্তু এখানেই কি গল্পের শেষ? ইমতিয়াজ আলীর ‘তামাশা’ ছবির গল্প এমনভাবেই শুরু।
ছবিটি আবার পরিচালক এবং কলাকুশলীদের একটি রি-ইউনিয়নও ছিল বটে! ইমতিয়াজ রণবীরকে নিয়ে বানিয়েছিলেন ‘রকস্টার’, দীপিকাকে নিয়ে ‘লাভ আজ কাল’। অন্যদিকে ‘বাঁচনা অ্যায় হাসিনো’ এবং ২০১৩ সালের ব্লকবাস্টার হিট ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’র পর আবারও অনস্ক্রিনে এক হয়েছেন রণবীর কাপুর ও দীপিকা পাড়ুকোন। ছবিটি প্রযোজনা করেছেন সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা।