‘পদ্ম বিভূষণ’ পুরস্কারে সম্মানিত দিলীপ কুমার
ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় পদক ‘পদ্ম বিভূষণ’ পেয়েছেন কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার। আজ বান্দ্রায় নিজের বাসভবনেই পুরস্কৃত করা হয় এই প্রবীণ অভিনেতাকে। এনডিটিভির খবরে জানা গেল, তাঁকে একটি মেডেল, সার্টিফিকেট এবং উত্তরীয় দান করে একটি অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দিলীপ কুমারের স্ত্রী সায়রা বানু, মহারাষ্ট্রের গভর্নর সি বিদ্যাসাগর রাও, মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফারনাবিসসহ বেশ কয়েকজন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব।
এ বছরের জানুয়ারির ২৫ তারিখেই জানা গিয়েছিল যে দিলীপ কুমার, অমিতাভ বচ্চনসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তিত্ব এই পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন। এপ্রিল মাসে রাষ্ট্রপতি ভবনে এই পুরস্কারপ্রাপ্তদের জন্য এক বিশেষ সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। তবে শারীরিক অসুস্থতার জন্য সেখানে যোগ দিতে পারেননি দিলীপ কুমার। দিন কয়েক আগে ৯৩-এ পা রেখেছেন তিনি।
দিলীপ কুমারের প্রকৃত নাম ইউসুফ খান, জন্ম পেশোয়ারে। বোম্বে টকিজের প্রযোজনায় ১৯৪৪ সালে ‘জোয়ার ভাটা’ ছবির মাধ্যমে চিত্রজগতে আবির্ভাব তাঁর। তখন থেকেই ফিল্মি নাম নিয়েছিলেন ‘দিলীপ কুমার’; যে নামে সবাই তাঁকে চিরদিন মনে রাখবে।
ছয় দশকের বিশাল ক্যারিয়ারে বিভিন্ন ঘরানার ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। বিয়োগাত্মক ছবিগুলোয় অসামান্য অভিনয়ের জন্য তাঁকে বলা হয় বলিউডের ‘ট্র্যাজেডি কিং’। আন্দাজ (১৯৪৯), আঁন (১৯৫২), দেবদাস (১৯৫৫), আজাদ (১৯৫৫), মোগল-এ-আজম (১৯৬০), গঙ্গা যমুনা (১৯৬১)- এগুলো শুধু তাঁর ক্যারিয়ারেই নয়; বলিউডেরও কালজয়ী ছবি।
পরবর্তীতে ক্রান্তি (১৯৮১), শক্তি (১৯৮২), কর্ম (১৯৮৬), সওদাগর (১৯৮৬)-এর মতো বাণিজ্যিক ও অ্যাকশনভিত্তিক ছবিতেও বয়োজ্যেষ্ঠ ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি। তাঁর অভিনীত সর্বশেষ ছবি ‘কিলা’ (১৯৯৮)।
১৯৯১ সালে ‘পদ্মভূষণ’, ১৯৯৪ সালে ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার পান তিনি। ভারতীয় চলচ্চিত্রে অবিস্মরণীয় অবদান রাখার সম্মাননা হিসেবে এ বছর ‘পদ্ম বিভূষণ’ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে তাঁকে।