রেখা বিধবা হয়েও সিঁদুর পরেন কেন?
গোঁড়া হিন্দু পরিবারের মেয়ে অভিনেত্রী রেখা। বিধবা হয়েছেন অনেক আগে। নতুন করে বিয়ে করেছেন, এমন ঘটনাও জানা যায়নি। কিন্তু এর পরও তাঁর সিঁথিতে সিঁদুর কেন?
তবে কি রেখার পুরোনো বান্ধবী দীপালির বক্তব্য ধরেই বলতে হয়, ‘রেখা আজো অমিতাভের জন্যই সিঁদুর পরেন?’
যদিও দীপালির প্রকাশ্যে বলা ওই বক্তব্যে কখনোই প্রতিবাদ করেননি রেখা। আজো কেউ জানে না, রেখা-অমিতাভের অমলিন এই প্রেমের সম্পর্কের গভীরতা ঠিক কতটা।
তবে অমিতাভের সঙ্গে পুরোনো প্রেমের স্মৃতিকে কখনোই প্রকাশ্যে আনেননি রেখা। গত ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে কথা বলা দূরের কথা, এ পর্যন্ত একসঙ্গে কোনো পার্টিতেও দেখা যায়নি দুজনকে।
‘সিলসিলা’ ছবির পর চলচ্চিত্রে অমিতাভ-রেখার প্রেমের গল্প ব্যাপকভাবে জনসমক্ষে আসে। এর পর থেকে দূরত্ব বাড়তে থাকে দুজনের মধ্যে। অমিতাভ বচ্চনের স্ত্রী জয়া এই সম্পর্কের কথাকে কখনোই ভালোভাবে মেনে নেননি। ফলে একসময় ঘর সামলাতে সব গুজব পাশ কাটিয়ে রেখার থেকে অনেকটাই দূরে সরে আসেন অমিতাভ। সেই ঘটনার পর পেরিয়ে গেছে বহু বছর।
১৯৭৩ সালে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে রেখা বিনোদ মেহরাকে বিয়ে করছেন বলে। কিন্তু রেখা নিজেই জানিয়ে দেন, সেই গুঞ্জন ছিল মিথ্যা।
১৯৯০ সালে রেখা দিল্লির এক শিল্পপতি মুকেশ আগরওয়ালকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের এক বছরের মাথায় মুকেশ রেখার ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। সে সময় মুকেশ তাঁর সুইসাইড নোটে লিখে যান, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।
সে সময় অনেকে রেখাকে ডাইনি নামেও সম্বোধন করতে ছাড়েননি। তার পর থেকেই খাতা-কলমে রেখা ছিলেন একজন বিধবা মহিলা। কিন্তু তিনি আজো সিঁথিতে সিঁদুর পরেন, যার উত্তর কেউ আজো জানেন না।
হিন্দু শাস্ত্রমতে, নারীদের কপালে সিঁদুর দেওয়া মানেই স্বামী বেঁচে আছেন। তবে আশি কিংবা নব্বইয়ের দশকে ভারতের প্রেমিকরা তাঁদের প্রেমিকাদের বিয়ের আগে সিঁদুর পরাতেন বলে জানা যায়। তখন মেয়েদের কাছে সিঁদুরের দাম ছিল অনেক। ফলে রেখার ভক্তরা অনেকেই ধরে নিয়েছেন, অমিতাভের নামেই আজো সিঁথিতে সিঁদুর পরেন রেখা।