রিয়া-মহিমার ‘ডার্ক চকোলেট’
মহিমা জড়িয়ে রেখেছেন রিয়ার গলা। সময় অনেক পেরোলেও এতটুকু কমেনি রিয়ার আবেদন, কিন্তু একি! তাঁর কপাল থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে মুখে। কালো পোশাকে দুজনেই তাকিয়ে আছেন সামনে। কথা হচ্ছে ‘ডার্ক চকোলেট’ ছবির পোস্টার নিয়ে। পুরো ঘটনা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
ববি মুখার্জির সাথে বিয়ের পর বলতে গেলে সিনেমা জগতকে বিদায়ই জানিয়ে দিয়েছিলেন মহিমা চৌধুরী। শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘পরদেশ’ ছবি দিয়ে যে খ্যাতি তিনি পেয়েছিলেন, তা এখনো রয়েছে অটুট। এ ছাড়া নিয়মিতভাবেই ছবিতে অভিনয় করেছেন সে সময়ে। নামডাকও ছিল সুঅভিনেত্রী হিসেবে। বিয়ের বছরখানেক পর কেবল ‘গুমনাম’ নামের একটি ছবিতে অভিনয়ের পর একেবারেই অনুপস্থিত হয়ে যান বড় পর্দা থেকে। এরপর গত বছর থেকে আবারও কাজ শুরু করেছেন। ‘ডার্ক চকোলেট’ দিয়ে প্রায় আট বছর পর ফিরছেন বড় পর্দায়।
অন্যদিকে, সুচিত্রা সেনের নাতনি বা মুনমুন সেনের কন্যা—এ দুই পরিচয়ের একটির প্রতিও তেমন সুবিচার করে উঠতে পারেননি রিয়া সেন। রিয়ার ছোট বোন রাইমা অবশ্য টালিউডে বেশ থিতু। তবে রিয়া অভিনয়ে বা পারফরম্যান্সে তেমন আলোড়ন তুলতে না পারলেও সব সময়েই আলোচিত ছিলেন আবেদন-সর্বস্বতার জন্য। টালিউড, বলিউড বা দক্ষিণী ছবিতে মাঝেমধ্যেই দেখা গেছে তাঁকে। তবে সব শেষ ‘জাতিস্মর’ ছবিতে উপস্থিতির জন্য প্রশংসিত হয়েছেন। এখন আবারো নিয়মিত হয়ে উঠতে চাইছেন বড় পর্দায়।
‘ডার্ক চকোলেট’-এর পোস্টার দেখে মোটামুটি অনুমান করা যায়, ইরোটিক থ্রিলার ঘরানার আরেকটি ছবি পেতে যাচ্ছে বলিউড। ‘হেট স্টোরি’ বা ‘মার্ডার’ ফ্র্যাঞ্চাইজির সাফল্যের পর এ ঘরানায় ছবি নির্মাণ বেশ লাভজনকই নির্মাতাদের কাছে। সে সঙ্গে বহুদিন পর এ দুই তারকার বলিউড প্রত্যাবর্তন অবশ্যই ছবির জন্য বাড়তি বিজ্ঞাপন হিসেবে কাজ করছে।
‘ডার্ক চকোলেট’ পরিচালনা করেছেন অগ্নিদেব চ্যাটার্জি। ম্যাকনেইল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোডাকশন লিমিটেডের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে ছবিটি।