চলছে ‘হৃদয় দোলানো প্রেম’ এবং ‘হরিযূপীয়া’
আজ ২৭ মার্চ, শুক্রবার ঢাকাসহ সারা দেশে মুক্তি পেয়েছে দুটি ছবি। আবুল কালাম আজাদ পরিচালিত ‘হৃদয় দোলানো প্রেম’ এবং গোলাম মোস্তফা শিমুল পরিচালিত ‘হরিযূপীয়া’।
ত্রিভুজ প্রেমের ছবি ‘হৃদয় দোলানো প্রেম’ নির্মিত হয়েছে টোকিও মুভিজের ব্যানারে। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে ‘হরিযূপীয়া’। এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাব্বির, বীথি, শাহাদাৎ প্রমুখ।
আবুল কালাম আজাদ পরিচালিত ‘হৃদয় দোলানো প্রেম’ ছবিতে আঁচলের বিপরীতে অভিনয় করেছেন আশিক চৌধুরী ও ফাহিম চৌধুরী। দুজনই প্রথমবারের মতো আঁচলের সঙ্গে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
ছবি সম্পর্কে আঁচল বলেন, ‘আবুল কালাম আজাদ স্যার অনেক যত্ন করে ছবিটি বানিয়েছেন। আশিক ও ফাহিম খুব ভালো কাজ করেছে। ছবির গল্পটা অনেক সুন্দর, যা দর্শকের ভালো লাগবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বাংলাদেশের এই সময়ে কেউ ছবি মুক্তি দিতে সাহস পাচ্ছে না, আবার অনেকে ঘোষণা দিয়ে ছবি মুক্তির দিন পিছিয়ে দিয়েছেন। এমন অবস্থায় আমার ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে। আপনারা হলে এসে ছবিটি দেখলেই আমাদের কষ্ট সার্থক হবে। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন, আমরা যেন আরো ভালো ছবি নিয়ে আপনাদের সামনে আসতে পারি।’
আঁচলের সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে নায়ক আশিক চৌধুরী বলেন, ‘আঁচল এ সময়ের খুব জনপ্রিয় একজন নায়িকা। প্রথমবার চলচ্চিত্রে ওর সঙ্গে কাজ করছি। আঁচল খুবই আন্তরিকভাবে কাজ করেন। মনে হয়নি প্রথমবার তার সঙ্গে কাজ করছি। খুব ভালো অভিনয় করে। আমি ওর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি।’
ফাহিম চৌধুরী বলেন, ‘আঁচল খুবই বন্ধুত্বপরায়ণ। অভিনয়ে ওর অন্য রকম একটা শক্তি আছে, যা আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। ও খুব ভালো নাচতেও পারে। আমিও যেহেতু অনেক দিন ধরে নাচ করি, তাই আমরা দুজন খুব সুন্দরভাবে কিছু গানে মজা করে কাজ করতে পেরেছি।’
এ ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন অঞ্জলি, রেহানা জলি, আঞ্জুমান আরা বকুল, জ্যাকি আলমগীর, মো. গুলজার হোসেন, জীনান, স্নিগ্ধা ও সুচরিতা।
অন্যদিকে, গোলাম মোস্তফা শিমুলের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় ‘হরিযূপীয়া’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে আজ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের চালানো গণহত্যার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে এই চলচ্চিত্র।
ঢাকার যমুনা ব্লকবাস্টার, স্টার সিনেপ্লেক্স, বলাকা, শ্যামলী, জোনাকী এবং খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, ময়মনসিংহসহ মোট ২০টি সিনেমা হলে একযোগে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি।
ছবির পরিচালক গোলাম মোস্তফা শিমুল বলেন, ‘বিজয়ের ঠিক আগমুহূর্তে দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মাধ্যমে এ দেশকে মেধাশূন্য করার যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, সে বিষয়কে উপজীব্য করেই এ চলচ্চিত্রের গল্প আবর্তিত হয়েছে।’
একজন প্রত্নতত্ত্ব গবেষক যুদ্ধের কারণে একটি স্থানে খননের কাজ সমাপ্ত করতে পারেন না। মাঝপথে তাঁকে থেমে যেতে হয়। কারণ, সেই স্থানটিতে কিছু পোড়ামাটির টালি পাওয়া যায়। টালিগুলোতে কিছু ছবি আঁকা, আর নিচে সামান্য কিছু লেখাও ছিল। তরুণ গবেষক সেই লেখা আর ছবির অর্থ বুঝতে পারছিলেন না। তাই তিনি আরো কয়েকজন চিন্তাশীল মানুষের সাহায্যে সেই ছবিগুলোর অর্থ খুঁজতে শুরু করেন।
এই অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে বাংলা আর বাঙালির নৃতাত্ত্বিক ইতিহাস। তাঁরা খুঁজে পান ইতিহাসের কিছু গণহত্যার কথা। ইতিহাসের গণহত্যার ঘটনা খুঁজতে খুঁজতে তাঁরা নিজেরাও গণহত্যার শিকার হন। মৃত্যুর আগে তাঁরা আবিষ্কার করেন, গণহত্যার কোনো নির্দিষ্ট স্থান নেই, নেই কোনো নির্দিষ্ট সময়। এটি ঘুরেফিরে কাল থেকে কালে, স্থান থেকে স্থানে, দেশ থেকে দেশে সংঘটিত হয়। এমনি একটা গল্প নিয়ে তৈরি করা হয়েছে ছবিটি।
ফরিদুর রেজা সাগর প্রযোজিত ‘হরিযূপীয়া’ ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন খায়রুল আলম সবুজ, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, কাজী রাজু, রিয়াজ মাহমুদ জুয়েল, সাব্বির আহমেদ, বীথি রানী সরকার, পাভেল ইসলাম, জুনায়েদ হালিম, শফিউল আলম বাবু, নাফিজা ইসলাম নাফা প্রমুখ। ঢাকা, নওগাঁ ও পাবনার বিভিন্ন স্থানে ‘হরিযূপীয়া’ ছবির শুটিং হয়েছে।