কড়া নিরাপত্তায় বিরাট-আনুশকার ডেটিং!
ভারতে এ সময়ের সবচেয়ে আলোচিত আর জনপ্রিয় প্রেমিক যুগল তাঁরা। এই খ্যাতির বিড়ম্বনা তো পোহাতেই হয়। বিশ্বকাপে লজ্জাজনক হারের পর সবচেয়ে বড় ভোগান্তিটা ছিল আনুশকার। তবে তাতে পাত্তা দেননি এই যুগল, দিব্যি ঘুরছেন-ফিরছেন পাশাপাশি। ইন্ডিয়া টাইমসের খবরে জানা গেল, তাঁদের ডেটিংটাও চলছে কড়া নিরাপত্তার মাঝে!
দিল্লি মিরাবাগে বিরাটের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন আনুশকা। অতি-উৎসাহী কোনো ভক্ত বা পিছে লেগে থাকা মিডিয়ার ঝামেলায় যেন পড়তে না হয়, সেজন্য আয়োজন ছিল বাড়তি নিরাপত্তার। পাহারা এমনই কড়া ছিল যে সাংবাদিকদের ছবি তোলায় পর্যন্ত ছিল ঘোরতর বারণ।
পরে দুজনে মিলে অভিজাত এক রেস্তোরাঁয় একসাথে নৈশভোজ সেরেছেন। হঠাৎ করে আনুশকার এই দিল্লি আগমন কি কেবলই ডেটিং? তা নয়, ধারণা করা হচ্ছে অন্য কারণ। এপ্রিলের ৩ তারিখ, অর্থাৎ পরশুদিনই ভারতীয় ক্রিকেট দলে বিরাটের সতীর্থ ক্রিকেটার সুরেশ রায়নার বিয়ে। সেই বিয়েতে যদি বিরাটের পাশে আনুশকা না থাকেন, তাহলে কি আর হয়!
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের ম্যাচে মাত্র ১ রান করে আউট হয়েছিলেন বিরাট। প্রেমিকা আনুশকা সেদিন মাঠে উপস্থিত ছিলেন। এরপর ভারতীয় সমর্থকরা ‘পুরনো’ রীতিতেই রাগ-আক্রোশ সব মেটাতে চড়াও হয়েছেন আনুশকার ওপর। সামাজিক মাধ্যমে, রাস্তাঘাটে বা বিভিন্ন এলাকায় আনুশকার মুণ্ডুপাত করেছেন বহু সমর্থক। তাঁদের দাবি, আনুশকার উপস্থিতির কারণেই নাকি বিরাটের, তথা ভারতের এই করুণ পারফরম্যান্স!
পরবর্তীকালে ভারতে একসাথেই পৌঁছেছেন বিরাট-আনুশকা। ক্যামেরা কিংবা গণমাধ্যমের তোয়াক্কা না করেই আনুশকার হাত শক্ত করে ধরে রেখেছিলেন বিরাট। বিরাটের এই সাহসী এবং ‘কেয়ারিং’ বয়ফ্রেন্ডসুলভ আচরণে সামাজিক মাধ্যমে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকে, প্রশংসা করেছে ভারতীয় গণমাধ্যমও। তবে পুরনো ভোগান্তির কথা নিশ্চয়ই এতে ভুলে যাবার কথা নয় তাদের। সেজন্যই হয়তো এই বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা!