বিখ্যাত হলিউড তারকাদের যত ডিভোর্স

হলিউডি তারকাদের জীবনে বিচ্ছেদের ঘটনা অহরহই ঘটছে। যেমন সহজাত ভঙ্গিমায় গড়ে ওঠে তাঁদের যৌথ জীবন, তেমনি ভেঙেও যায় হুটহাট। এ তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন ব্র্যাড পিট-অ্যাঞ্জেলিনা জোলি জুটির বিচ্ছেদ। দীর্ঘস্থায়ী ক্যারিয়ারের সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক টিকিয়ে রেখেছেন এমন হলিউড জুটির সংখ্যা অনেক। কিন্তু এর সঙ্গে সঙ্গে হলিউড ইতিহাস সাক্ষী অনেক ক্ষণস্থায়ী সম্পর্কেরও। ব্র্যাড পিটের সঙ্গে সংসারের আগে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বিয়ে করেছিলেন জনি লি মিলারকে, আবার সিনেমার পর্দার ভালোবাসাকে বাস্তব জীবন পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়া জেনিফার গার্নার আর স্কট ফলি জুটির কথাও বলতে হয়!
ব্র্যাডলি কুপার ও জেনিফার এস্পোসিটো
২০০৬ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ব্র্যাডলি কুপার ও জেনিফার এস্পোসিটো জুটি। সে সম্পর্ক টেকেনি বেশি দিন। মাত্র এক বছর পর ২০০৭ সালেই ঘটান বিবাহবিচ্ছেদ। তার পর থেকে রেনে জিলওয়েজাররের সঙ্গে সম্পর্ক হয় ব্র্যাডলির।
এমি রসাম ও জাস্টিন সিগেল
২০০৮ সালে গোপনে নিজের সংগীত প্রযোজককে বিয়ে করেন এমি রসাম। মিডিয়ার কাছ থেকে কিছু সময়ের জন্য গোপনও রেখেছিলেন বিয়ের খবর। কিন্তু এক বছর পরেই ২০০৯ সালে বিবাহবিচ্ছেদ!
জেমস ক্যামেরন ও ক্যাথেরিন বিগেলো
নিজের সিনেমার আয়ের অঙ্কের মতোই বিয়ের অঙ্কটাও একটু বড় ‘অ্যাভাটার’ পরিচালকের। এ পর্যন্ত পাঁচবারের মতো বসেছেন বিয়ের পিঁড়িতে। তার মধ্যে বিয়ে করেছিলেন সহকর্মী পরিচালক ক্যাথেরিন বিগেলোকেও। ১৯৮৯ সালের এ বিয়ে টেকে মাত্র দুই বছর, ১৯৯১ সালে ডিভোর্সের মাধ্যমে দুদিকে বেঁকে যায় দুজনের পথ।
স্কট ফলি ও জেনিফার গার্নার
১৯৯৮ সালে ‘ফেলিসিটি’ সিনেমার সেটে দেখা হয় দুজনের। পর্দার প্রেম রূপান্তরিত হয় সত্যিকারের ভালোবাসায়। ২০০০ সালেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এ জুটি। কিন্তু ২০০৩ সালের মে মাসেই ডিভোর্সের জন্য আবেদন করেন জেনিফার এবং নতুন প্রেমে জড়ান ‘অ্যালিয়াস’ সিনেমার আরেক সহ-অভিনেতা মাইকেল ভার্টানের সঙ্গে। অবশ্য খুব বেশিদিন টেকেনি সেই সম্পর্কও, মাত্র এক বছরের মাথায় বেন অ্যাফ্লেক চলে আসেন তাঁর জীবনে।
ড্রিউ ব্যারিমুর ও টম গ্রিন
কমেডিয়ান টম গ্রিনকে ২০০১ সালে বিয়ে করেন ড্রিউ ব্যারিমুর এবং সেই বছরের ডিসেম্বরেই টম আবেদন করেন ডিভোর্সের। ‘কমিক্যাল’ এ জুটি বিবাহবিচ্ছেদের আগে একসঙ্গে অভিনয় করেন ‘চার্লিস অ্যাঞ্জেলস’ এবং ‘ফ্রেডি গট ফিঙ্গারড’-এ।
জুলিয়া রবার্টস ও লাইল লাভেট
কান্ট্রি সিঙ্গার লাইল লাভেটকে ১৯৯৩ সালের জুনে বিয়ে করেন জুলিয়া রবার্টস। ১৯৯৫-এর মার্চেই আবার আলাদা হয়ে যান এই জুটি এবং তার কয়েক বছর পরই জুলিয়ার প্রণয় হয় বেঞ্জামিন ব্র্যাটের সঙ্গে।
মাইকেল ডগলাস ও ডিয়ান্ড্রা লুকার
১৯ বছর বয়সী ডিয়ান্ড্রা লুকারকে ১৯৭৭ সালের মার্চে বিয়ে করেন মাইকেল ডগলাস। একটি সন্তানও আসে তাঁদের সংসারে। কিন্তু ব্যক্তিগত অমিলের জের ধরে ১৯৯৫ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের। এর পরে ক্যাথেরিন জেটা-জোনসকে বিয়ে করেন মাইকেল, এই জুটির অবশ্য আর ছেদ হয়নি।
টম ক্রুজ ও মিমি রজার্স
নিকোল কিডম্যান আর কেটি হোমসকে বিয়ের আগে টম ক্রুজ বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী মিমি রজার্সকে। ১৯৮৭ সালের মে’তে বিয়ে সম্পন্ন করার বছর তিনেকের মধ্যেই ১৯৯০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ডিভোর্সের মাধ্যমে আলাদা হয়ে যান তাঁরা।
মারিও লোপেজ ও আলি ল্যান্ড্রি
২০০৪ সালের এপ্রিলে আলি ল্যান্ড্রির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মারিও লোপেজ। কিন্তু বিয়ের পূর্ণ আমেজ কাটার আগেই মাত্র দুই সপ্তাহের মাথায়ই নিজেদের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করে এই জুটি।
ম্যাডোনা ও শন পেন
১৯৮৫ সালে বিয়ে করে চার বছরের মাথায় ১৯৮৯ সালে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান ম্যাডোনা-শন পেন জুটি। একসঙ্গে ‘সাংহাই সারপ্রাইজ’-এ অভিনয় করে এই জুটি। ভালোবাসার নিদর্শনস্বরূপ শন পেনকে নিজের ক্যারিয়ারের তৃতীয় অ্যালবাম ‘ট্রু ব্লু’ উৎসর্গ করেন ম্যাডোনা।