অপরাধ মনোবিজ্ঞানী হতে চেয়েছিলাম : কাল্কি কোচলিন
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/05/25/photo-1432548841.jpg)
‘গার্ল ইন ইয়েলো বুটস’ কিংবা ‘মার্গারিটা উইথ আ স্ট্র’। কাল্কি কোচলিন বড়পর্দায় সব সময়ই গতানুগতিক চরিত্র থেকে একশ হাত দূরে থাকেন। একমাত্র মেইনস্ট্রিম মসলা ছবি ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’-তেও তাঁর চরিত্র প্রথাগত পেলব বলিউডি নায়িকার নয়। পর্দার বাইরেও এই অভিনেত্রীর জীবনধারা কি দর্শন আর দশজনের থেকে অনেক আলাদা। বলিউডের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ‘ফিল্মফেয়ার’ কাল্কির সাথে বিস্তারিত আলাপ করেছে বহুকিছু নিয়ে।
প্রশ্ন : আপনার প্রতিটি ছবিই একটি আরেকটি থেকে একদম আলাদা। অভিনেত্রী হিসেবে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে কি আপনি ভালোবাসেন?
উত্তর : সব শিল্পীই নিজের সক্ষমতা বাড়াতে চায়। প্রত্যেক ছবির সাথে সাথেই আমি নতুন নতুন সব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে ভালোবাসি। কোনো নির্দিষ্ট ঘরানায় আটকে থাকা আমার পছন্দ নয়। কাজেই মানুষেরও এটা ভাবা উচিত নয় যে আমি কেবল ‘একই টাইপ’ ছবি করতে পারি। কাজেই প্রতিটি ছবিতেই আমি নিজের স্বকীয়তা প্রকাশের চেষ্টা করি।
প্রশ্ন : আগামী ১০ বছরে কী অর্জন করতে চান?
উত্তর : আমার কাজের উন্নতি চাই। নিজের অভিনয়ক্ষমতা ভালো করতে চাই। সব দিক থেকে উন্নতি করতে চাই। উন্নতি তো প্রতিদিনের জীবনযাপনেই হয়, তবে একটা মানুষ তো আর একদিনে বদলে যেতে পারে না। কোনোকিছু পেতে হলে আজীবন শিখতে হয়। আমার কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য নেই, তবে আমি দেখতে চাই যে আমি কতটা সময় ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি আর কতটুকু অর্জন করতে পারি।
প্রশ্ন : কোন বিষয়টি একজন নারীর জীবনকে উন্নততর করতে পারে?
উত্তর : নিজের প্রতি সম্মান। আমরা অনেক সময়ই অন্য কোনো নারীর মতো নিজেকে দেখাতে চাই। এ জন্য তার মতো করে পোশাক পরি, নিজেদের ওপর বহুভাবে চাপ নিয়ে ফেলি। অধিকাংশ মেয়েই এভাবে ভাবে। কিন্তু আমার মনে হয় আমাদের অবশ্যই নিজেদের ক্ষমতা বোঝা উচিত এবং সেগুলোকে বিকশিত করা দরকার। কেউই পারফেক্ট নয়। ‘জ্যিন লোগঁকো হাম মহান সমঝ্তে হ্যায়, উ্যনমে ভি কঁমিয়া হ্যায়’ (যাদের আমরা মহান হিসেবে জানি, তাদেরও কিছু কমতি আছে)। এই বিষয়টা সব সময় মনে রাখতে হবে।
প্রশ্ন : অভিনেত্রী না হলে কী হতেন?
উত্তর : আমি ক্রিমিনাল সাইকোলজিস্ট হতে চেয়েছিলাম। কোন ‘ক্রিমিনাল মাইন্ড’ (অপরাধী মন) কীভাবে কাজ করে তা জানার প্রচুর আগ্রহ আমার। তাদের কাজকর্ম আর কীভাবে তারা অপরাধী হয়ে ওঠে, এ নিয়ে আমার অনেক কৌতূহল।
প্রশ্ন : অবসাদ কাটানোর জন্য কী করেন?
উত্তর : আমি সাঁতার ভালোবাসি, কাজেই তখন লম্বা সময় সাঁতার কাটি। এতে অনেক স্বস্তি অনুভব করি, দুশ্চিন্তাও দূর হয়ে যায়।
প্রশ্ন : আপনার ফ্যাশন সেন্স তো দারুণ! তা কোত্থেকে পান এমন আইডিয়া?
উত্তর : নিজের পোশাক নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালোই লাগে। ছোটবেলায় মা-বাবার ওয়ারড্রোব থেকে পোশাক নিয়ে অন্যকিছুর এক্সপেরিমেন্ট করতাম। সব সময়েই এভাবে মিলিয়ে-মিশিয়ে পোশাক পরেছি, এভাবেই আমার এক ধরনের নিজস্ব ফ্যাশন সেন্স তৈরি হয়েছে। মাঝেমধ্যে একটা টাই আর হ্যাটের সাথে স্যুট পরে ফেলি, এতে আমার মধ্যে একটা ভিন্ন লুক আসে।