এনটিভিতে নতুন ধারাবাহিক ‘ভালোবাসার অলিগলি’

Looks like you've blocked notifications!
নাটকটির পোস্টার। ছবি : এনটিভি অনলাইন

জনপ্রিয় বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভিতে আজ ২৩ মে (বুধবার) থেকে শুরু হচ্ছে দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটক ‘ভালোবাসার অলিগলি’। প্রতি সপ্তাহের সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার রাত ৯.৩০ মিনিটে প্রচার হবে।

সাগর জাহানের রচনা ও পরিচালনায় ধারাবাহিকটিতে অভিনয় করেছেন মারজুক রাসেল, কচি খন্দকার, শামীমা নাজনীন, তানজিকা আমিন, ইশতিয়াক আহমেদ রুমেল, সাইদুর রহমান পাভেল, সোহেল তৌফিক, নায়মা আলম মাহা, সিনথিয়া ইসলাম, মাসুদ হারুন, হানিফ পালোয়ান, শাহরিয়ার শুভ প্রমূখ। 

নাটকের গল্পে দেখা যাবে, মুন্সিবাড়ির পত্তনের পর থেকে সব থেকে বিখ্যাত লোক ছিলো আলতাফ মুন্সি। যিনি এলাকার সবার কাছে আলতাফ চেয়ারম্যান নমে পরিচিত। প্রয়াত আলতাফের দুই ছেলে ফরিদ এবং শহীদ। বড় ছেলে ফরিদ বাবার সুনাম আর বউ রুকশানার কারণেই আজ কাউন্সিলর। কিন্তু এই দায়িত্ব পালন করতে তার ভালো লাগে না। তার ভালো লাগে সারাদিন বানার ভেতর শুয়ে বসে থাকতে। তার সমস্ত কাজ দক্ষতার সাথেই সামলায় স্ত্রী রুকশানা। এই রুকশানা পাকিস্তান আমলের বিখ্যাত ঠিকাদার মসলেম আড়তদারের মেয়ে। যুবতিকালে এই রুকশানা অনেক সাহসী ছিলো। নিজের সাথে সবসময় লাইসেন্স করা পিস্তল রাখতো। ফরিদকেও নাকি সে এক রকম মাস্তানি করেই বিয়ে করেছে। কিন্তু রুকশানা আর ফরিদের পরিবার আজও একে অন্যকে দোষারোপ করে এই বিয়ে নিয়ে। ফরিদের ছোট ভাই শহীদ পেশায় ঠিকাদার। ঠিকাদার হলেও সে নিজে কোন কাজ করেনা। প্রভাব খাটিয়ে কাজ বের করে সাব কন্ট্রাকে সেই অন্যকে দিয়ে দেয়। সারাদিন সে বাইরে বাইরেই থাকতে পছন্দ করে। সাথে দুই একজন থাকেই সবসময়। ভাইয়ের অবর্তমানে তার কমিশনার হওয়ার কথা থাকলেও ভাবির কারণে পারছেনা। তাই ভাবি রুকশানাকে তার ভালো লাগেনা। 

এলাকার একটু দূরে ছোট্ট একটা বাসায় থাকে দরিয়া। দরিয়ার পরিবারে অসুস্থ মা, বাবা নেই। দরিয়াই টিউশনি করে সংসার চালায়। সপ্তাহে না হলেও দুই দিন দরিয়ার বাড়িতে যায় শহীদ। তাদের সুখে দু:খে পাশে থাকার চেষ্টা করে। কখনও কখনও আর্থিক সহায়তাও করে। শহীদের দরিয়াকে ভালো লাগে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মহল্লার আরেক মেয়ে রাগিনীকেও ভালো লাগে শহীদের। অন্যদিকে ফরিদ-শহীদের একমাত্র বোন পায়রা। পায়রার চলাফেরা, কথা বার্তাতেই একমাত্র এই পরিবারের আভিজাত্যটা বোঝা যায়। দরিয়া তাকে সেই ছোটবেলা থেকেই পড়ায়। পায়রার সবকিছুর ভেতরেই যেন কিছু একটা আছে। যদিও সেটা বলা মুশকিল তবে তমালের কাছে মনেহয় কিছু একটা আছেই। তমাল পাগলের মতো ভালোবাসে পায়রাকে। পায়রাও ভালোবাসে আবার বাসেও না। এক রহস্যময় সম্পর্ক। এই এলাকার এমন আরো কিছু প্রেম, ভালোবাসা, সম্পর্ক, রাজনীতি, ক্ষমতার পালা বদলের গল্প ভালোবাসার অলিগলি।