‘হুব্বা’র টিজারে ‘গ্যাংস্টার’ রূপে মোশাররফ

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : হুব্বা সিনেমার টিজার থেকে নেওয়া

কয়েকদিন আগে কলকাতার সিনেমা ‘হুব্বা’র ফার্স্ট লুক প্রকাশিত হয়েছিল, যেটি দর্শক মহলে খুব আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এবার ‘হুব্বা’ সিনেমার ৪০ সেকেন্ডের টিজার প্রকাশের পর মোশাররফ করিমের চরিত্রটি কেমন হতে চলেছে সেই আভাসটি স্পষ্ট হলো।

গতকাল শুক্রবার (১১ আগস্ট) দুপুরে ‘হুব্বা’র টিজার প্রকাশ করলেন সিনেমার পরিচালক ব্রাত্য বসু। টিজারটি শেয়ার করে কলকাতার এই পরিচালক লিখেছেন,‘হুব্বা’র টিজারটি দেখুন এবং ট্রেলার লঞ্চ না হওয়া পর্যন্ত আপনার মেরুদণ্ড দিয়ে হিম স্রোত বয়ে যেতে দিন…! 

টিজারটি ইতোমধ্যে প্রশংসা পেতে শুরু করেছে। নব্বই দশকের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গে উত্থান ঘটে হুব্বা শ্যামল নামক এক মাফিয়ার। রাজ্যের হুগলি জেলার অপরাধ জগতের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন এই শ্যামল। তার চরিত্রেই অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম।

টিজারে দেখা যায়, হুগলির ‘গ্যাংস্টার’ হুব্বা শ্যামল চরিত্রে অভিনয় করা মোশাররফ করিম কখনও তার দল নিয়ে বন্দুক হাতে নিয়ে পাড়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, আবার কখনও রাতের অন্ধকারে এক নারীর সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। একইসঙ্গে আবার অপরাধ জগতের কাজকর্ম সামলাচ্ছেন। এ চরিত্রে তাকে দেখে চমকে গেছেন সিনেপ্রেমী দর্শকরা।

পরিচালক ব্রাত্য জানান, হুব্বা সিনেমা বাংলা ভাষার ভারতীয় থ্রিলার কমেডির মিশেলে তৈরি করা হয়েছে। এতে নাম ভূমিকায় মোশাররফ করিম ছাড়াও পুলিশ অফিসারের চরিত্রে দেখা গেছে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তকে।

হুগলির দাউদ ইব্রাহিম নামেও পরিচিত ছিলেন এই গ্যাংস্টার। নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে আবির্ভূত হন হুব্বা। হুগলি জেলার অন্ধকার জগতের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন তিনি। খুন, অপহরণ, ড্রাগ পাচারের ৩০টি মামলা ছিল তার বিরুদ্ধে, পুলিশের হাতে তিনবার গ্রেপ্তার হয়েও জামিনে ছাড়া পান। ২০০৫ সালে সল্ট লেক থেকে হুব্বার অতিনাটকীয় গ্রেপ্তারির কথা আজও মনে রেখেছে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ।

জানা গেছে, ৭০টি মোবাইল ফোন ব্যবহার করত হুব্বা। এই ডন ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে স্বাধীনভাবে ভোটেও দাঁড়িয়েছিলেন। যাতে বেজায় বিপাকেও পড়েছিল শাসকদল। পরবর্তী সময়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন তিনি। ২০১১ সালে বেশকিছুদিন নিখোঁজ থাকার পর বৈদ্যবাটির খালে হুব্বা শ্যামলের পচগলা দেহ ভেসে উঠে, গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল তার।

‘হুব্বা’ সিনেমাটি প্রযোজনা করছে ফিরদৌসল হাসানের প্রযোজনা সংস্থা ‘ফ্রেন্ডস্ কমিউনিকেশন’। ব্রাত্য এবং ফিরদৌসল জুটিকে আগেও দর্শক দেখেছে। এই জুটির এটি দ্বিতীয় সিনেমা।