মাহির বিচ্ছেদ

পাশে দাঁড়ালেন শবনম ফারিয়া

Looks like you've blocked notifications!
মাহিয়া মাহি ও শবনম ফারিয়া। ছবি: অভিনেত্রীদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি সম্প্রতি নিজের সংসার ভাঙনের খবর দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায় কান্না কান্না করতে করতে নিজের বিবাহ বিচ্ছেদের খবর দিচ্ছেন মাহি। মাহির সংসার ভাঙার খবরে বেশ অবাকই হয়েছেন মাহির ভক্ত-অনুরাগীরা।

২০২১ সালে গাজীপুরের ব্যবসায়ী রাকিব সরকারকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। বিয়ের আড়াই বছরের মাথায় ডিভোর্সের পথে হাঁটলেন মাহি। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ‘বিনা মেঘে বজ্রপাত’র মতো এক ভিডিওবার্তায় হাজির হয়ে নিজের বিচ্ছেদের খবর সবাইকে জানান অভিনেত্রী। 

এদিকে মাহির বিচ্ছেদের খবরে ভক্তমহলেও চলছে বেশ আলোচনা। কেউ অভিনেত্রীকে কটাক্ষ করে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন, আবার কেউ সহমর্মিতা জানিয়ে পাশে থেকেছেন। এবার মাহির সংসার ভাঙা নিয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ এক পোস্ট দেন আরেক অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া।

আজ মঙ্গলবার নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে শবনম ফারিয়া লেখেন, পর্দার সামনে কিংবা যেকোনো পেশায় কাজ করলেও সবার একটা ব্যক্তিগত জীবন থাকে, সেখানে অনেক উঠা নামা থাকে! একটা মানুষ কত স্বপ্ন, আশা নিয়ে কারো সঙ্গে সংসার শুরু করে জানেন? যখন কোনো কারণে সংসার করা সম্ভব হয় না সেটা কত কষ্টের জানেন? 

অভিনেত্রী লেখেন, বিশ্বাস করেন, সবার পরিবার থাকে। পর্দার সামনে যারা কাজ করে তারা কেউ সমাজ বা পরিবারের বাইরের না। ধরেন, কোনো কারণে আপনার বোনের সংসার টিকল না, আর আশেপাশের মানুষ না জেনে তাকে আজেবাজে কথা বলছে, আপনার মায়ের কিংবা আপনার কেমন লাগবে? বিশ্বাস করেন, সবার মা ভাই-বোনদেরও সেইম লাগে। 

ফারিয়ার ভাষায়, একটা মানুষ তার কষ্টের কথা বলছে, আর আপনার হাতে একটা ফোন আছে তাই আপনি যা ইচ্ছা বলে দিলেন, এটা খুব খুব খারাপ একটা প্র্যাকটিস। শুধু শুধু কাউকে কষ্ট দেয়া একটা অপরাধের সমান। এইসব আর করবেন না। প্লিজ, কারো কষ্ট কমাতে না পারলে কষ্ট বাড়ানোর কাজে ভূমিকা রাখবেন না। 

সবশেষ শবনম ফারিয়া উল্লেখ করেন, বিশ্বাস করেন, কেউ ইচ্ছা করে কারো সংসার ভাঙে না। যে যেই পেশাই থাকে সবাই স্বামী-সন্তান নিয়ে সুখে থাকতে চায়।

মূলত এ পোস্টের মাধ্যমে শবনম ফারিয়া বলতে চেয়েছেন কেউ ইচ্ছা করে কারো সংসার ভাঙে না। এমন এক পরিস্থিতিতে কাউকে কষ্ট দিয়ে কিছু বলাও উচিত নয়।