গাড়িচালক ও সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ, বিতর্কের মুখে সাফাই শ্রীময়ীর

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : ইন্সটাগ্রাম থেকে নেওয়া

সম্প্রতি সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন কলকাতার অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক ও অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ। বুধবার (৬ মার্চ) ছিল তাঁদের রিসেপশনের অনুষ্ঠান। পার্ক স্ট্রিটের এক ব্যাঙ্কোয়েট হলে আয়োজন করা হয়েছিল সেই অনুষ্ঠানের।

কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বিয়ে নিয়ে এমনিতেই সরগরম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ব্যঙ্গবিদ্রুপ, চর্চা, সমালোচনার ঢল নেমেছে। সেই আগুনে ঘি পড়ল নতুন করে। বিয়ে এবং রিসেপশনের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের উপস্থিতি চাইছেন না কাঞ্চন-শ্রীময়ী, সেটা তাঁরা আগে জানিয়েছিলেন। তবে রিসেপশনের অনুষ্ঠানে তাঁদের লিখিত নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে সমালোচনা।

পার্ক স্ট্রিটের ওই ব্যাঙ্কোয়েট হলে ঢোকার মুখেই একটি বোর্ডে ইংরেজি হরফে লেখা ছিল ‘প্লিজ়, প্রেস অ্যান্ড পার্সোনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড ড্রাইভার্স আর নট অ্যালাউড’। যে বাক্যের বাংলা অর্থ দাঁড়ায়, ‘দয়া করে সাংবাদিক, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী এবং গাড়ির চালকের প্রবেশ নিষেধ।’

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এই ছবি ঘুরছে সামাজিক পাতায়। সাংবাদিক মহলের একাংশ এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সোচ্চার হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর উদ্দেশে প্রতিবাদস্বরূপ খোলা চিঠি লেখা হয়েছে। তাঁদের এই পদক্ষেপ অনেকেরই ‘অপমানজনক’ বলে মনে হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে প্রথমবার আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে মুখ খুললেন শ্রীময়ী। তাঁর কথায়,‘আমরা একেবারেই এটা করিনি। আমাদের কাছে সাংবাদিকেরাও মানুষ, গাড়ির চালকেরাও মানুষ, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীরাও মানুষ। কাউকে ছোট করা হয়নি। দ্বিতীয়ত, আমরা চেয়েছিলাম খানিকটা গোপনীয়তা বজায় রাখতে। কিন্তু ভুয়া পরিচয় দিয়ে প্রবেশ করার একটা আশঙ্কা থেকেই যায়। সেই কারণেই হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম, আমরা সাংবাদিক, নিরাপত্তারক্ষী এবং গাড়ির চালকদের প্রবেশাধিকার বন্ধ রাখতে চাই। এমনিতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের বিয়ে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যে ভেসে যাচ্ছে। সেখানে যদি অনুষ্ঠানে প্রবেশ অবাধ হয়, তা হলে তো মুশকিল হবেই।’

শ্রীময়ীর বলেন, ‘আমরা আমাদের মতামত জানিয়েছিলাম। হোটেল কর্তৃপক্ষ কীভাবে সেটা পরিচালনা করছেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য আমাদের কাছে ছিল না। তা ছাড়া এখানে তো কাউকে অপমান করা হয়নি। সকলেই তো মানুষ। আমাদের বিয়ের কার্ডেও এমন কোনো ইঙ্গিত নেই।’