ত্বক এবং চুলের রঙ অনুসারে পোশাক নির্বাচন করুন
কখনও এমন পরিস্থিতিতে পড়েছেন, যেখানে আপনাকে আপনার পছন্দের পোশাকে মানাচ্ছে না? এর কারণ হতে পারে আপনার ত্বক বা চুলের রঙের টেক্সচার। সঠিক পোশাক আপনার আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে তোলে। আপনার বাহ্যিক সৌন্দর্যকে করে তুলে আকর্ষণীয়।
১। ত্বকের রঙ
পছন্দ অনুযায়ী পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ হল ত্বকের রঙ জেনে নেওয়া। এটি জানার উপায় হল কব্জির ভিতরের শিরাগুলি দেখে। যদি সেগুলি নীল বা বেগুনি দেখায়, তবে আপনি উজ্জ্বল বর্ণের অধিকারী। যদি শিরাগুলি সবুজ হয় তাহলে আপনি শ্যাম বর্ণের অধিকারী।
২। চুলের রঙ
পোশাক নির্বাচনের পরবর্তী ধাপ চুলের রঙ বিবেচনা করা। সাউথ এশিয়ান হিসেবে, আমাদের চুলের রঙ কালো বা বাদামী হবার সম্ভাবনা বেশি। অনেকেই আবার নানা রঙে রাঙিয়ে তুলে নিজের চুল।
৩। সঠিক রং নির্বাচন
ত্বকের এবং চুলের রঙ সম্পর্কে জানা হয়ে গেলে পোশাক নির্বাচনের জন্য এটি একটি নিখুঁত সমন্বয়। আপনি যদি শ্যাম বর্ণের হয়ে থাকেন তবে, সবুজ, বাদামী, হলুদ, লাল জাতীয় উষ্ণ রঙে আপনাকে ভালো দেখাবে। যদি গোলাপী বা লাল বর্ণের হয়ে থাকেন, তবে বেগুনি, ল্যাভেন্ডার, গোলাপী, নীল-এর মত রঙে আপনাকে ভালো দেখাবে।
৪। রঙ নিয়ে পরীক্ষা
আপনি মাঝে মাঝে রঙ নিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। বিভিন্ন রঙের সাথে পরীক্ষা করতে ভয় পাওয়া উচিত নয়। একজন শ্যাম বর্ণের ব্যক্তি হিসাবে আপনি নীল বা সবুজের মতো রঙ বাছাই করে নিতে পারেন। একইভাবে, গোলাপী টোনযুক্ত ব্যক্তি হলুদ বা কমলা রঙের পোশাক বাছাই করে দেখতে পারেন।
৫। গয়না নির্বাচন
গয়না নির্বাচনও ত্বকের টোন এবং চুলের রঙ অনুসারে পোশাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। শ্যাম বর্ণের ত্বক হলে, আপনি আপনার ত্বকের সোনালি আভাকে পরিপূরক করতে সোনার গয়না পরতে পারেন। অন্যদিকে, আপনার যদি গোলাপী বা লাল বর্ণের হয়ে থাকেন, তবে আপনি রূপার গয়না পরতে পারেন। কিন্তু, পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোনো সীমারেখা নেই। আত্নবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলে সেরকম গয়না নির্বাচন করুন।
আপনার ত্বকের টোন এবং চুলের রঙ অনুসারে পোশাক পরুন। এতে আপনাকে সেরা দেখাবে। আত্মবিশ্বাসী বাড়াতে সহায়তা করবে। সঠিক পোশাক নির্বাচন করে আপনি একটি অসামান্য চেহারা তৈরি করতে পারেন। যা আপনার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের পরিপূরক। মনে রাখবেন, ফ্যাশন হল আত্ম-অভিব্যক্তি। তাই বিভিন্ন রঙ এবং শৈলী নিয়ে পরীক্ষা করতে ভয় পাবেন না।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া