যে আট প্রসাধনী ত্বকের জন্য ক্ষতিকর
সুন্দর দেখাতে এবং ত্বক সুস্থ রাখতে আমরা প্রতিনিয়তই বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকি। যা অনেক সময় ত্বকের উপকারের চেয়ে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই বাজারের নামিদামি প্রসাধনী ব্যবহারে সাবধান।
যে প্রসাধনীগুলো ত্বকের জন্য ক্ষতিকর বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটে তার একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। যা জেনে রাখা আপনার জন্য খুবই জরুরি-
লিপস্টিক
লিপস্টিক ব্যবহারের ফলে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়। লিপস্টিক এবং লিপগ্লোস ঠোঁটের তেল শুষে নেয় এবং এর ক্ষতিকারক উপাদান ঠোঁট রুক্ষ করে ফেলে। অন্য দিকে লিপবাম ঠোঁটের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখে। তাই যদি লিপস্টিক ব্যবহার করতে চান তাহলে প্রথমে ঠোঁটে লিপবাম দিয়ে তারপর লিপস্টিক লাগান। এতে ঠোঁট ভালো থাকবে এবং আপনাকে দেখতেও সুন্দর লাগবে।
ময়েশ্চারাইজার
আমরা সবাই জানি মুখ ধোয়ার পর ত্বকে ময়েশ্চরাইজার ব্যবহার করা উচিত। এতে ত্বক ভালো থাকে। কিন্তু বাজারের এই ময়েশ্চারাইজারে মিনারেল ওয়েল ও প্যারাফিন উপাদান থাকে। যা ত্বকের সুরক্ষার আবরণ নষ্ট করে এবং ত্বকের স্বাভাবিক ময়েশ্চরাইজার নষ্ট করে। তাই যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
কাজল
প্রায় সব মেয়েই চোখে কাজল ব্যবহার করে। কিন্তু এই কাজলের কারণে চোখে ছানি পড়ে, চোখ শুষ্ক হয়ে যায় এমনকি চোখ নষ্টও হয়ে যেতে পারে। তাই চোখে কাজল দেওয়ার সময় সচেতন থাকুন।
নেইলপলিশ
আপনার হাতের ত্বকের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে নেইলপলিশ। গাঢ় রঙের নেইলপলিশের ক্ষতিকর উপাদানের কারণে নখ ভেঙে যায়, পাতলা হয়ে যায়। আর নেইলপলিশ রিমুভার নখের পাশাপাশি হাতের ত্বকের জন্যও ক্ষতিকর।
সুগন্ধিযুক্ত পাউডার
গরমের সময় পাউডার নিত্যপ্রয়োজনীয় একটি প্রসাধনী। ছোটবড় সবাই ব্যবহার করে। কিন্তু এই পাউডার ব্যবহারের ফলে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায় এবং ত্বকের কোষগুলো বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে কোষগুলো মরে যায়। যা ত্বককে শুষ্ক করে ফেলে এবং ব্লাকহেড তৈরি করে।
ব্লিচ
যে কোষ ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখে ব্লিচের কারণে ত্বকের সেই স্বাভাবিক তেল নিঃস্বরণের কোষ নষ্ট হয়ে যায়। ব্লিচ ব্যবহারের ফলে ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক, মলিন, র্যাশ, বলিরেখা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই যদি ত্বককে সুস্থ রাখতে চান তাহলে ব্লিচ এড়িয়ে চলুন।
ওয়েক্সিং
ওয়েক্সিং ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এর জন্য যে প্রসাধনী ব্যবহার করা হয় তা ত্বকের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। মুখে ওয়েক্স করলে অনেক তাড়াতাড়ি বলিরেখা পড়ে যায়। তাই ত্বক সুস্থ রাখতে ওয়েক্সিং না করাই ভালো।
চুলের কালার
চুলে বিভিন্ন রঙ ব্যবহার করার কারণে চুল পড়ে যায়, রুক্ষ হয়ে যায় এবং এলার্জি হয়। যা চুলের পাশাপাশি মাথার ত্বকের জন্যও ক্ষতিকর। তাই চুলে কালার না করাই ভালো।