অফিসে পরিপাটি লুক

অফিসের সাজপোশাকে ছিমছাম থাকাটা খুবই জরুরি। তবে পুরো লুকে এলিগ্যান্ট একটা ভাব থাকা চাই। হালকা মেকআপ, পরিপাটি চুল আর পোশাকে ভিন্নতা। সব মিলিয়ে নিত্যদিনের কর্মজীবন সুন্দর করে শুরু হোক, সেটাই তো সবাই চান।
কেমন হবে অফিসের মেকআপ? আর কোন পোশাকই বা বাছাই করব? এমন হাজারটা প্রশ্ন মাথায় ঘুরছে তাই না? কর্মজীবনে সাজপোশাক কেমন হওয়া উচিত তার পুরোটাই নির্ভর করছে অফিসের পরিবেশের ওপর। এমনটাই জানালেন ওমেন্স ওয়ার্ল্ডের পরিচালক এবং বিউটি এক্সপার্ট ফারনাজ আলম।
ফারনাজ আলম কানাডার ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো থেকে ত্বক বিষয়ে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছেন। কানাডায় থাকার সময় ম্যাক কসমেটিকসের সঙ্গে বেশ কিছুদিন কাজও করেছেন তিনি। সেখানে ডার্মাটোলজিতেও কোর্স করা আছে ফারনাজের। এরপর লন্ডনের নর্থ আম্বরিয়া ও মালয়েশিয়ার টেইলোরস থেকে আর্কিটেকচারের ওপর দুটি ডিগ্রি অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি অ্যাসথেটিকসের ওপর পড়াশোনা করেন, যা ২০১১ সালে শেষ করেন। বর্তমানে মায়ের প্রতিষ্ঠানে ডিরেক্টরের আসনে রয়েছেন। বিশ্বের ১০ হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে ল’রেল কন্টেস্টে ফাইনালিস্ট হয়েছেন ফারনাজ আলম। বর্তমানে ল’রেল প্যারিসের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে রয়েছেন তিনি।
অফিসের সাজপোশাকের সঙ্গে মেকআপটা কেমন হবে চাইলে ফারনাজ আলমের দেওয়া পরামর্শগুলো একবার দেখে নিতে পারেন।
মেকআপের কারসাজি
প্রথমে সামান্য লিকুইড ফাউন্ডেশন হাতে নিয়ে একটি বাফিং ব্রাশ দিয়ে মেকআপের বেইজ করে নিন। ব্রাশ দিয়ে এমনভাবে ফাউন্ডেশন ব্লেন্ড করে দিন যাতে ত্বকের সঙ্গে মিশে যায়। এতে মুখ অনেকটা স্বাভাবিক লাগবে এবং মেকআপের বেইজও ভালো হবে। মনে রাখবেন, পুরো মেকআপ ভালো বেইজের ওপর অনেকটা নির্ভর করে। এবার একটি চিকন পাফ ভিজিয়ে মুস ফাউন্ডেশন দিয়ে পুরো মুখে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। বেইজটা বসবে ভালো। মুখে কোন ধরনের স্পট ধাকলে কনসিলার লাগাতে পারেন। কনসিলার শুধু দাগ ঢাকার জন্য ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া চোখের নিচের কালো দাগ কনসিলারের সাহায্যে ঢেকে নেওয়া যায়। বেইজের ক্ষেত্রে সবশেষে ফিনিশিং পাউডার দিয়ে পুরো মেকআপ সেট করে নিন। থিক একটি ব্রাশ দিয়ে মুখে ভালো করে পাউডার ব্লেন্ড করে দিন। ডার্ক ব্রাউন কালার কন্টোরিং পাউডার অথবা ক্রীম দিয়ে দুই পাশের গালে কন্টোরিং করে নিন। চিক ও কানের মাঝখান থেকে একটু নিচ পর্যন্ত টেনে কন্টোরিং করে নিন। অফিসের মেকআপে ব্লাশন ব্যবহার না করাই ভালো। চোখকে প্রমিনেন্ট করতে আইলাইনার ব্যবহার করুন। এবার গাঢ় করে মাশকারা দিন। ঠোঁটে স্কিন কালারের লিপস্টিক দিতে পারেন। চুলগুলো সামনের দিকে হালকা পাফ করে ছনে উঁচু করে বেঁধে নিন।
পোশাকে ভিন্নতা
অফিসে ছিমছাম পোশাক বেছে নেওয়াই ভালো। কেউ শাড়িতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, কেউবা সালোয়ার কামিজে কেউ আবার ওয়েস্টার্ন আউটফিটে। আজকাল করপোরেট অফিসগুলোতে পশ্চিমা পোশাককেই প্রাধান্য দেওয়া হয়।
ঝামেলাবিহীন স্বাচ্ছন্দ্যের পোশাকের এই ধরনটি সবারই বেশ পছন্দ। জিনস বা টাইসের ওপর গাঢ় রঙের টপস পরে এর ওপর ব্লাক একটা শর্ট ব্লেজার পরতে পারেন। বেশ এলিগ্যান্ট একটা লুক আসবে।
জুতা বাছাই
যদি ওয়েস্টার্ন পোশাক বাছাই করেন, তাহলে অবশ্যই হাই হিলের শু পরুন। আর শাড়ি পরলে সেমি হিলের জুতা পরতে পারেন। তবে সালোয়ার কামিজের সঙ্গে স্লিপার জুতা পরাই ভালো। দেখতে ভালো লাগবে।
গয়না বাহার
অফিসে খুব একটা ভারী গহনা পরার দরকার নেই। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে গলায় বড় একটি হার পরতে পারেন। আর কানে ছোট্ট একটি দুল। হাতে কিছু না পরলেও চলবে। তবে মিষ্টি ঘ্রাণের সুগন্ধি দিতে একদমই ভুলবেন না যেন।
গ্যালারিতে দেখতে ওপরে ক্লিক করুন
নিজেই নিজের মেকআপ করেছেন ফারনাজ আলম। ছবি : সৈয়দ অয়ন