সঙ্গী বিশ্বস্ত যেভাবে বুঝবেন
সম্পর্কের স্তম্ভ হলো বিশ্বাস। যে সম্পর্কে বিশ্বাস যত মজবুত আছে, সে সম্পর্ক তত বেশি উন্নত। তাই সম্পর্কে বিশ্বাস ধরে রাখা খুব জরুরি। সম্পর্কের গভীরে যাওয়ার আগে সঙ্গীর বিশ্বস্ততা যাচাই করে নেওয়া জরুরি। এই যাচাইয়ের পদ্ধতি রিডার্স ডাইজেস্ট ওয়েবসাইট ব্যাখ্যা করেছে বিশদভাবে। জেনে নিন কী সেগুলো—
১. সব অনুভূতি শেয়ার করা
সঙ্গীর সঙ্গে সব ধরনের অনুভূতি শেয়ার করাই বিশ্বস্ততার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। তাই আপনার সঙ্গী যদি তার সব কথা আপনাকে শেয়ার করে, তাহলে বুঝবেন তাকে বিশ্বাস করা যায়। কারণ, সে আপনার কাছে কিছুই লুকায় না।
২. ভুল করলে স্বীকার করা
মানুষ মাত্রই ভুল করে। তাই সঙ্গী যদি কোনো ভুল করে থাকে এবং তা অকপটে স্বীকার করে, তাহলে সঙ্গীকে নিঃসন্দেহে বিশ্বাস করতে পারেন। কেননা, সে বিষয়টি গোপন রাখতে পারত কিংবা তা নিয়ে তর্কে লিপ্ত হতে পারত।
৩. মন খুলে কথা বলা
সঙ্গীর কাছে কোনো কিছুই লুকানো ঠিক নয়। কোনো কিছু হয়তো আপনাদের সম্পর্কে ইতি টানতে পারে। এটা জেনেও সঙ্গী যদি আপনাকে সেই বিষয় বলে দেয়, তাহলে তাকে অবিশ্বাস করলে বোকামি করবেন।
৪. কথা বলার জন্য অন্য কাজ ত্যাগ
সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা কথা বলা জরুরি। তাই যদি সঙ্গী আপনার সঙ্গে কথা বলার জন্য তার সব কাজ বাদ দেয়, তাহলে বুঝতে হবে সে আপনাকে নিয়ে কতটা চিন্তাশীল। তাই তাকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে পারেন।
৫. স্বাভাবিকভাবে কথা বলা
একজন মিথ্যাবাদী কিংবা প্রতারক সঙ্গী চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে পারে না। কিন্তু সৎ ও বিশ্বাসযোগ্য সঙ্গী আপনার চোখে চোখ রেখে সহজেই কথা বলতে পারবে।