দাম্পত্যজীবনে আপনি কি সুখী? মিলিয়ে নিন ১২ লক্ষণ
সংসার মানে শুধু এক ছাদের নিচে থাকা নয়। সংসার মানে শুধু একে অপরের প্রতি দায়িত্ব পালন করাও নয়। যে সংসারে প্রেম কিংবা ভালোবাসা নেই সেই সংসারে কি দম্পতি সুখী জীবন যাপন করতে পারেন? সম্পর্কে কোনো কারণে ফাটল ধরলে বা ঘাটতি হলেই দাম্পত্যজীবন থেকে সুখ উবে যায়।
তাই বিশেষজ্ঞরা বলেন, দাম্পত্যজীবনে সুখী হতে হলে কিছু চর্চা করতে হবে। কিছু ছোটখাটো অভ্যাস আপনার দাম্পত্যজীবনকে আনন্দময় করে তুলতে পারে।
লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট রিডার্স ডায়জেস্টে দাম্পত্যজীবনে সুখী হওয়ার কিছু দিক তাই তুলে ধরা হলো এখানে।
• দিনে অন্তত একবার সঙ্গীকে ধন্যবাদ বলুন এবং এটা এমনভাবে বলবেন যেন আপনার সঙ্গী বিশ্বাস করে আপনি খুশি হয়েই তাকে বলছেন। কোনো একটা কাজের পর- যেমন ধরুন- খাবার খাওয়ার পর তার রান্না নিয়ে প্রশংসা করুন। এতে সে অনুভব করবে আপনি সত্যিই তাকে ভালোবাসেন।
• সকালে নাশতার টেবিলে যদি একটি সুন্দর চিরকুট আপনার সঙ্গীর মুখে হাসি ফোটায় তাহলে ক্ষতি কি? এমন কিছু চিরকুট ঝগড়ার সময়ও আপনাকে বেশ সাহায্য করবে। একবার চেষ্টা করে দেখুন না।
• সব সময় সমস্যা, ঝামেলা বা গাম্ভীর্যপূর্ণ কথা সম্পর্ককে জটিল করে ফেলে। তাই মাঝে মাঝে মজার কিছু বিষয় নিয়েও কথা বলুন। বিষয়টি হাস্যকর মনে হলেও আপনার কাজে লাগবে।
• দুজন দুজনার কাজে সাহায্য করুন। বলছি না যে, মেয়েরা তার স্বামীর অফিসের কাজ করে দেবে। বাসায় বসে অফিসের কাজ করলে তখন বিরক্ত না করাটাই ভালো। এটাও এক ধরনের সাহয্য করা। আর পুরুষরা যদি বাসার টুকটাক নারীদের কাজে সাহায্য করে তাহলে স্ত্রীর কাজগুলো তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায় এবং দুজন দুজনের সঙ্গও পায়।
• প্রতিদিন সকালে সারাদিন দুজনের কী পরিকল্পনা জেনে নিন। চাকরিজীবী দম্পতিদের ক্ষেত্রে হতে পারে একজনের অনেক লম্বা একটি অফিসিয়াল মিটিং আছে আবার আরেকজনের অফিসে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে। এমনকি পুরনো বন্ধুদের সাথে দুপুরের খাওয়ার পরিকল্পনাও থাকতে পারে। একে অপরকে এসব বিষয় জানালে মনে হবে আপনারা দুজন দুজনকেই বুঝতে পারছেন এবং আপনারা বিষয়গুলোর সংস্পর্শে আছেন। বাসায় ফেরার পর অবশ্য জিজ্ঞাসা করবেন মিটিং কেমন হলো, কাজটি হয়েছে কি না অথবা বন্ধুদের সঙ্গে কেমন সময় কাটালে। আপনারা একে অপরের সব জিনিস খেয়াল রাখেন এবং বোঝার চেষ্টা করেন এটাই তার প্রমাণ।
• সঙ্গীকে শ্রদ্ধা করুন। অন্য মানুষদের সামনে কখনোই তাকে ছোট করবেন না। এতে শুধু আপনার সঙ্গীই লজ্জা পাবে না আপনাদের সম্পর্কটাও অন্যের কাছে হালকা মনে হবে।
• সময় পেলে দুজনই বেরিয়ে পড়ুন ঘুরতে। এমন না যে অনেক দূরে কয়েক দিনের জন্য যেতে হবে। চাইলে কিছুক্ষণের জন্য বাইরে হেঁটে আসুন অথবা ছাদে গিয়ে কিছুটা সময় কাটাতে পারেন। ভালো লাগবে।
• মাঝেমধ্যে সঙ্গীর জন্য একটি-দুটি চিঠি লিখতে পারেন। এতে নতুন করে ভালোবাসা অনুভব হবে।
• অনেকে সঙ্গীর বদ-অভ্যাসের কারণে বিরক্ত হন। আর সেই বিরক্তিটা সম্পর্কের ওপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। তাই ঝামেলা না করে এসব বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলাই ভালো। এতে কিছুটা হলেও সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব।
• যেকোনো বিষয়ে নমনীয়তা বজায় রাখুন। হঠাৎ করেই কোনো বিষয়ে তর্কে জড়াবেন না। মনে রাখবেন, ভালোভাবে কোনোকিছু উপস্থাপন করলে প্রতি-উত্তরটাও সেভাবে পাওয়া যায়।
• নিজের জন্য একটু আলাদা সময় রাখুন। যাতে সময়টুকু নিজের মতো করে উপভোগ করতে পারেন। এই বিষয়টা দুজনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
• যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে সঙ্গীকে আগে প্রাধান্য দিন। কোনো বিষয়ে তাকে অবহেলা না করাই ভালো। দুজনে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিলে দুজনেরই ভালো লাগবে।