গরমে লোডশেডিং! বাসায় সমাধান করুন ৫ উপায়ে
তীব্র গরমে নাজেহাল সারা দেশ। এদিকে তাপমাত্রা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ফ্রিজেরর ঠান্ডা পানিতে গলা ভিজিয়ে আর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের হাওয়া গায়ে লাগিয়ে খানিকটা স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে বটে, তবে সেই স্বস্তিতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ঘন ঘন লোডশেডিং। তীব্র গরমে দিন নেই, রাত নেই হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। তারপর দীর্ঘ অপেক্ষা। চাতক পাখির মতো বসে থাকতে হয় বিদ্যুতের পথ চেয়ে। ততক্ষণে ঘামে ভিজে চুপচুপে হয়ে যেতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে শারীরিক অস্বস্তি আর একরাশ বিরক্তি তো আছেই। বিদ্যুৎ অফিসে সাহায্য চাইলেও অধিকাংশ সময়ই মিলছে না সুরাহা। বিদ্যুৎ কখন চলে যাবে, তা আগে থেকে জানা সম্ভব নয়। তবে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আগে কী কী ব্যবস্থা নিয়ে রাখবেন?
– গরমে পানি ছাড়া চলা মুশকিল। লোডশেডিং হলে পানি পাওয়া মুশকিল হবে। তাই আগে থেকেই পানি সঞ্চয় করে রাখুন। বলা তো যায় না, কখন বিদ্যুৎ চলে যাবে। ফ্যান, এসি বন্ধ হয়ে গেলেও অন্ধকারে বসে ঘামতে ঘামতে অন্তত গলা ভেজাতে পারবেন। সেজন্য বাড়ির পানি পরিশোধনকারী যন্ত্রটিতে আগে থেকে পানি ভরে রাখতে হবে। বিদ্যুৎ চলে গেলে আর পানি পাওয়া যাবে না। একই রকমভাবে পাম্পেও পানি ধরে রাখতে পারলে ভাল।
– গরমে আইপিএসে চার্জ দিতে ভুলবেন না। আইপিএসে চার্জ দেওয়া থাকলে অন্তত একটা ফ্যান, আলো জ্বালানো যাবে। তাতে খানিকটা স্বস্তি অন্তত পাওয়া সম্ভব।
– লোডশেডিং হওয়ার আদর্শ সময় হল গরমকাল। যখন-তখন সব বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে রাতে লোডশেডিং হলে বেশ সমস্যা হয়। তাই মনে করে কিছু মোমবাতি কিনে হাতের কাছে রাখতে পারেন। অন্ধকারে নানা পোকামাকড় গোপন আস্তানা ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। তাই একেবারে অন্ধকারে না থাকাই উচিত।
– গরম পড়লেই মশার প্রকোপ বাড়ে। লোডশেডিং হলে মশাদের দাপট যেন আরও বেড়ে যায়। এই গরমে যখন-তখন বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। অন্ধকারে মশারা যাতে ঘিরে না ধরে, তার জন্য আগে থেকে কয়েল প্রস্তুত রাখুন।
– লোডশেডিং মানেই ফ্রিজ বন্ধ। বোতলে ভরা ঠান্ডা পানিও গরম হতে শুরু করবে। গরমের দিনে বাড়িতে তাই মাটির পাত্রে পানি ভরে রাখতে পারেন। লোডশেডিং হলেও ঠান্ডা পানি খেতে পারবেন।