শরীরের কোথায় তিল থাকা কীসের ইঙ্গিত দেয়?
মানুষের দেহে তিল থাকা স্বাভাবিক। তবে দেহের কিছু অংশে তিল থাকলে সেটাকে শুভ আবার কিছু অংশে তিল থাকলে তা অশুভ বলে গণ্য করা হয়। অনেকের জন্মলগ্ন থেকে তিল থাকে, আবার অনেকের দেহে জন্মের পরও তিল বা আঁচিল হতে পারে।
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, অনেক ক্ষেত্রে মানুষের ভাগ্য নির্ভর করে শরীরে তিলের উপর। তিল বা আঁচিল শরীরের নানা স্থানে অবস্থানের উপর ভিত্তি করে আমাদের নানা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বা ভাগ্যের সম্বন্ধে অনেক কিছু বলে দেওয়া যায়। চলুন জেনে নেওয়া সেগুলো কী।
– পুরুষদের ক্ষেত্রে তালুর বৃহস্পতির স্থানে, অর্থাৎ তর্জনীর মধ্যে বা চূড়ায় তিল থাকা আত্মসম্মান জ্ঞান সম্পন্ন, খ্যাতিবান এবং ধনী হওয়ার বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করে। তবে, নারীদের ক্ষেত্রে অখ্যাতি এবং অশুভ লক্ষণ বোঝায়।
– তালুর শনির ক্ষেত্রে, মধ্যমার মধ্যে বা চূড়ায় তিল থাকলে আগুন, বিদ্যুৎ এবং সাপে কামড়ানোর মতো বিপদের আশঙ্কা থাকা বোঝায়।
– রবির ক্ষেত্রে, অর্থাৎ অনামিকার মধ্যে বা চূড়ায় তিল থাকলে সম্পদশালী, খ্যাতিমান এবং সুখি হওয়ার সম্ভাবনা বোঝায়। অনামিকার নীচে জীবনরেখার উপর তিল চোখের সমস্যা বা চোখের পীড়া নির্দেশ করে থাকে, বিশেষত ডান চোখের।
– বুধের ক্ষেত্রে, অর্থাৎ কনিষ্ঠায় তিল বা আঁচিল থাকা সাবলীল নির্দেশ করে। তবে সেটি শুভ অবস্থানে থাকলেই প্রযোজ্য, অন্যথায় প্রযোজ্য নয়।
– পুরুষের ক্ষেত্রে বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠে তিল বা আঁচিল থাকা শুভ নয়। এটি অন্যের বশ্যতায় জীবনযাপন নির্দেশ করে।
– নারীদের ক্ষেত্রে বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠে তিল থাকা শুভ, এটি শিল্পীসত্ত্বা নির্দেশ করে। শিল্পকর্মে সুনাম ও যশ বৃদ্ধিও নির্দেশ করে।
– বাম হাতের তালুর পিছনে তিল বা আঁচিল দেরি করে খ্যাতি পাওয়া নির্দেশ করে। এই তিল যাদের থাকে, তারা সাধারণত জীবনের মধ্যভাগের পর সুখ পান।
– নারীদের বাম হাতের তালুর মধ্যভাগে তিল বা আঁচিল থাকা শুভ ভাগ্য নির্দেশ করে। বিশেষত ২৫ বছর বয়সের পর।
– নারীদের বাম হাতের তালুর পিছনে তিল বা আঁচিল শিল্পক্ষেত্রে সফলতা নির্দেশ করে।
– নারীদের কপালে আঁচিল থাকলে তারা সৌভাগ্যবতী হন।
– নারীদের বুকের অভ্যন্তর ভাগে তিল থাকলেও তারা সৌভাগ্যবতী হন।
– নারীদের কপালের বাম প্রান্তে তিল থাকলে তারা সারা জীবনে সুখী থাকেন।
– নারীদের নাকের অগ্রভাগে তিল থাকলে তারা ভাগ্যবতী হন।
– নারীদের নাভির নিম্নতলে তিল থাকা শুভ।
– নারীদের বাম বগলে তিল থাকা শুভ।