আপনি একাকিত্বে ভুগছেন? মিলিয়ে নিন ৬ লক্ষণ
এই পৃথিবীতে আমরা সবাই একা। তবে সবচেয়ে কঠিনতম একাকীত্ব হল নিজেকে নিজের ভালো না লাগা। এ সময় মানুষ নিজেকে গুটিয়ে নেয়। অন্যদের সাথে মেলামেশা বন্ধ করে দেয়। নিজেকে সব কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। যা এক সময় বিষাক্ত হয়ে ওঠে। এ ব্যাপারে মাদার তেরেসা বলেছিলেন, “মানুষের সবচেয়ে ভয়ানক অভাব হলো একা আর প্রেমহীন হয়ে যাওয়া”। আপনি যে একাকীত্বে ভুগছেন তা কিছু লক্ষণ দেখে বুঝে যাবেন। এ সব লক্ষণ আপনার মাঝে থাকলে এখনই নিজেকে নিয়ে ভাবুন। অন্যথায়, একাকীত্ব এক সময় আপনার পিছু ছাড়বে না।
সামাজিক ভাবে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখা
গভীর একাকীত্বের মুখোমুখি হওয়া ব্যক্তি সামাজিক কার্যকলাপ থেকে সরে আসতে পারে। এরা অন্যদের থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে। তারা সামাজিক জমায়েত পছন্দ করে না। ঘন ঘন পরিকল্পনা বাতিল করার প্রবণতা থাকে। বন্ধু বান্ধব এবং পরিবারের সাথে কম যোগাযোগ করে।
ক্রমাগত দুঃখ
যারা একাকীত্বে থাকেন তাদের মাঝে ক্রমাগত দুঃখ এবং শূন্যতার অনুভূতি থাকে। এরা সব সময় জীবনের দুঃখময় অভিজ্ঞতাগুলো নিয়ে ভাবে। প্রায় এরা কাঁদে।
আগ্রহ বা অনুপ্রেরণার অভাব
গভীর একাকীত্বতে থাকা মানুষজন উপভোগ্য ক্রিয়াকলাপগুলোতে আগ্রহ হারাতে পারে। সে তার শখের কাজগুলো থেকে দূরে সরে যেতে পারে। ব্যক্তিগত লক্ষ্যগুলো উপেক্ষা করে যেতে পারে। যেকোনো কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে।
অত্যধিক আত্ম-সমালোচনা
একাকীত্বের মধ্যে থাকলে নিজেকে অযোগ্যতা মনে হতে পারে। আত্ম-সন্দেহের অনুভূতিগুলো জেগে ওঠে। তারা কঠোরভাবে নিজেদের বিচার করতে পারে। তারা বিশ্বাস করে যে, তারা সবার কাছে অপ্রিয় বা অনাকাঙ্ক্ষিত।
সম্পর্ক বজায় রাখতে অসুবিধা বোধ করে
গভীর একাকীত্বে থাকলে অর্থপূর্ণ সম্পর্ক শুরু করা বা বজায় রাখা চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠতে পারে। অন্যদের সাথে সংযোগ স্থাপনে এ ধরনের মানুষজন আরামবোধ করে না। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা বা বজায় রাখা এদের জন্য কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
শারীরিক লক্ষণ
একাকীত্ব, শারীরিক ভাবেও প্রকাশ পায়। যেমন- মাথাব্যথা, ক্লান্তি, ঘুমের ব্যাঘাত এবং দুর্বল প্রতিরোধ ব্যবস্থা। দীর্ঘস্থায়ী একাকীত্বে থাকলে মানসিক চাপ বেড়ে যায়।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস