শীতের পোশাক না ধুয়ে দুর্গন্ধমুক্ত রাখার তিন উপায়

শীতকাল আসন্ন, আর এই সময়ে আরামদায়ক উষ্ণতার জন্য আমরা জ্যাকেট, সোয়েটার, শাল বা কোটের মতো ভারী পোশাক ব্যবহার করি। এই ধরনের মোটা ও উলের পোশাকগুলো দৈনন্দিন জীবনে ঘন ঘন কাচা সম্ভব হয় না, আবার ড্রাই ক্লিনিং বা লন্ড্রির উপর নিয়মিত নির্ভর করাটাও বেশ ব্যয় সাপেক্ষ। অথচ, নিয়মিত পরিষ্কার না করার কারণে পোশাকে ঘাম ও স্যাঁতসেঁতে ভাবের জন্য সহজে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়, যা অস্বস্তিকর হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে পোশাকের সতেজতা বজায় রাখা এবং দুর্গন্ধ দূর করা এক বড় চ্যালেঞ্জ। তবে কিছু সহজ ও ঘরোয়া কৌশল অবলম্বন করে শীতের পোশাক না কেচেও এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্য নিয়ে কীভাবে আপনার প্রিয় শীতবস্ত্রকে ঝকঝকে ও দুর্গন্ধমুক্ত রাখবেন, সেই উপায়গুলো নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
১. বেকিং সোডা
বেকিং সোডা একটি প্রাকৃতিক দুর্গন্ধনাশক। ব্যবহারের কৌশল হলো: পোশাকের যে অংশে ঘাম জমে দুর্গন্ধ হতে পারে (যেমন বগলের নিচে বা কব্জিতে), সেখানে অল্প পরিমাণে বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন। একদিন পর পোশাকটি ভালো করে ঝেড়ে নিলেই দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. সাদা ভিনিগার
সাদা ভিনিগারও পোশাকের দুর্গন্ধ দূর করতে খুব কার্যকর। ব্যবহারের কৌশল হলো: সমপরিমাণ সাদা ভিনিগার ও জল মিশিয়ে একটি স্প্রে বোতলে নিন এবং পোশাকের উপর হালকাভাবে স্প্রে করুন। খেয়াল রাখতে হবে পোশাক যেন ভিজে না যায়। এরপর পোশাকটি হাওয়ায় শুকাতে দিন। ভিনিগারের গন্ধ উবে যাওয়ার সাথে সাথে পোশাকের দুর্গন্ধও দূর হবে।
৩. সূর্যালোক এবং বাতাস
পোশাককে সতেজ করার এটি সবচেয়ে সহজ ও প্রাকৃতিক উপায়। ব্যবহারের কৌশল হলো: ব্যবহৃত শীতের পোশাক কিছুক্ষণ খোলা বাতাস এবং সূর্যালোকে রেখে দিন। সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি পোশাকে থাকা জীবাণু এবং ছত্রাক দূর করতে সাহায্য করে, যা দুর্গন্ধের মূল কারণ।
সতর্কতা
সরাসরি সূর্যালোকে খুব বেশিক্ষণ পোশাক রাখলে তার রং নষ্ট হয়ে যেতে পারে, তাই সময় খেয়াল রাখা উচিত। এই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করলে জ্যাকেট, সোয়েটার বা শালের মতো পোশাকগুলো ঘন ঘন না কেচেও সেগুলোকে দুর্গন্ধমুক্ত ও সতেজ রাখা সম্ভব।